এবার কি তাহলে পদ্ম শিবিরের দিকে পা বাড়াতে চলেছেন টলিউডের ফার্স্ট ম্যান? সোমবার গভীর রাতে মুম্বইয়ের মাড আইল্যান্ডে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করেছেন মোহন ভাগবত। সে নিয়ে জল্পনার রেশ কাটার আগেই প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের ‘দরবার’-এ হাজির হলেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।
অমিত শাহকে নিয়ে লেখা তাঁর বই ‘Amit Shah & March of BJP’ উপহার দিলেন অভিনেতাকে। বিজেপির ভাষায় তা কেবল ‘সৌজন্য আলাপচারিতা’ হলেও ব্যক্তির নাম যেহেতু প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ফলে জল্পনা তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। ইতিমধ্যেই সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘুরছে ওয়ালে ওয়ালে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি জন্ম জয়ন্তীতে হাজির হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। চা চক্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলাদা করে কথাও হয়েছে তাঁর। যদিও অনুষ্ঠানটি সরকারি ছিল। তাও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। এবার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা গেল প্রসেনজিৎকে।
ভোটের আগে বহিরাগত ইস্যুতে বিজেপিকে বিধেছে তৃণমূল। সেই প্রেক্ষাপটে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রসেনজিৎ ও মিঠুনের কাছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের আগমন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির গায়ে বাঙালি বিরোধী তকমা সেঁটে দিতে চেষ্টার খামতি রাখেনি বিরোধীরা। ‘কুলীন বাঙালি’রা দূরত্ব মেপেই চলেছে। স্বাভাবিকভাবে প্রসেনজিৎ বা মিঠুন চক্রবর্তীকে যদি বিজেপি বা সঙ্ঘের নেতাদের সঙ্গে দেখা যায়, তখন সেই অস্পৃশ্যতা আর থাকে না। একুশের আগে সম্ভবত সেটাই লক্ষ্য বিজেপির।
যদিও প্রসেনজিতের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা উড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতার দাবি, পুরোটাই সৌজন্য সাক্ষাত্।