কালিয়াগঞ্জ-কাণ্ড নিয়ে ঝড় তুলতে কোমড় বাঁধছে বিজেপি। শুক্রবার সেখানে অশান্তির মধ্যেই বিজেপির তিন বিধায়ক-সহ স্থানীয় কিছু নেতা ঘটনাস্থলে যান। শনিবার সেখানে যাবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার।
জোয়েল মুর্মু, চিন্ময় দেব বর্মণ এবং সত্যেন্দ্রনাথ রায়— তিন বিধায়ক-সহ বিজেপির কিছু নেতা কর্মী এ দিন ঘটনাস্থলে যান। দুপুরেই সুকান্তবাবু টুইটারে লেখেন, “বালুরঘাটের আদিবাসী মহিলাদের পাশবিক হেনস্থার পর এবার এক রাজবংশী নাবালিকাকে গণধর্ষণ! রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি এখনও বলবেন বাংলার শান্তি – শৃঙ্খলার কথা!”
অপর টুইটারে তিনি লেখেন, “যেখানে আপনার রাজত্বে বাংলা নারী নির্যাতনের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হচ্ছে, সেখানে আপনি উত্তরপ্রদেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ছিঃ মুখ্যমন্ত্রী!”
এরপর ফের টুইট করতে গিয়ে ঘটনাস্থলের অশান্তির ভিডিও-সহ সুকান্তবাবু লেখেন, “উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে আরেক কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। মেয়েটি রাজবংশী (এসসি) সম্প্রদায়ের। পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে পরিবারের সদস্যদের মারধর ও চাপ দিচ্ছে। লজ্জা!” নারী নির্যাতন নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
প্রসঙ্গত, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় উওর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। পুলিশের সঙ্গে বচসা-হাতাহাতি হয় উত্তেজিত জনতার। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় সূত্রে খবর, কালিয়াগঞ্জ থানার সাহেবঘাটা গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরীর সঙ্গে এলাকারই এক যুবকের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরনোর পর কিশোরীর কোনও খোঁজ মেলে না। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিলেও কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে বাড়ির লোকজন জানতে পারেন, ওই কিশোরী একটি ছেলের সঙ্গে রয়েছে। অবশেষে শুক্রবার সকালে বাড়ির অদূরে একটি পুকুরে ওই কিশোরীর মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়।