দেশে লোকসভার আসন ৫৪৩টি। তবে নীতীশ কুমার মনে করেন ৪০০০ আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি! অবশ্য প্রথমে আরও এক ধাপ এগিয়ে চার লাখ বলতে গিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তবে শেষ মুহূর্তে সামলে নেন তিনি।
ঘটনাস্থল বিহারের নওয়াদা। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সেখানেই জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রধানমন্ত্রী যখন সভাস্থলে উঠলেন, তখন বক্তব্য রাখছেন নীতীশ। বাকি নেতারা উঠে দাঁড়িয়ে মোদীর নামে স্লোগান দিচ্ছেন। নীতীশের অবশ্য সে সবে ভ্রুক্ষেপ নেই।
মঞ্চের নীচে বসে ছিলেন জেডিইউ নেতা বিজয়কুমার চৌধরি। বার বার হাতঘড়ির দিতে তাকাতে দেখা যায় তাঁকে। ২৫ মিনিট বক্তব্য রাখার পর থামেন নীতীশ। মোদীর পাশে বসেই প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেখা যায় তাঁকে। বক্তব্য রাখতে উঠে নীতীশের প্রশংসা করে মোদী বলেন, “আপনি এত ভাল বক্তব্য রেখেছেন যে, আমার আর কিছুই বলার বাকি নেই।”
নীতীশ তাঁর বক্তব্যে মোদী এবং বিজেপির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মানুষ সব ভোট প্রধানমন্ত্রীকে দেবেন, যিনি চার হাজার সাংসদ নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছেন।” তাঁর এই মন্তব্য সম্বলিত ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হাসি-মশকরা শুরু হয়ে গিয়েছে। অবশ্য এই প্রথম নয়, আগেও একাধিক বার বেফাঁস মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন প্রবীণ জেডিইউ নেতা।
নীতীশের এই দীর্ঘ সময় ধরে বক্তৃতা করা, বেফাঁস মন্তব্য করার বিষয়টি ভাল ভাবে নিচ্ছে না বিজেপিও। পদ্মশিবির সূত্রে খবর, বিহারে এনডিএ শরিকদের মধ্যে আসন সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। তাই নীতীশকে বলা হবে, বিজেপির পরবর্তী সভাগুলিতে তিনি উপস্থিত না থেকে বরং দলের প্রার্থীদের প্রচারে মনোযোগ দিন। বিভ্রাট এবং বিড়ম্বনা এড়াতেই এই পদক্ষেপ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া নীতীশ গত জানুয়ারিতে ফের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরে ফিরে যান। বিজেপির সমর্থনে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে নতুন করে শপথ নেন। তাঁর বার বার দলবদল করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নীতীশের রাজনৈতিক বিরোধীরা। লোকসভা ভোটে বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে লড়ছে নীতীশের দল। ১৭টিতে বিজেপি।