তুমুল উত্তেজনার মধ্যে বাঁকুড়া সদর থানার পুরন্দরপুর ও ছাতনার তেঘরি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করলো বিজেপি। পঞ্চায়েতে বোর্ডগঠনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা দেখা দেয় পুরন্দরপুরে। আজ সকালে তা চূড়ান্ত রূপ নেয়।
১৭ সদস্যের পুরন্দরপুর পঞ্চায়েতে বিজেপি ৮, তৃণমূল ৭টি আসন দখল করে। ২টি আসনে জয়ী হয় সিপিএম।আজ বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকাল হতেই বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীরা ভিড় করতে শুরু করে। দুই দলের বিজয়ী প্রার্থীরা পঞ্চায়েত ভবনে প্রবেশ করে, ভোটাভুটি শুরু হয়। বিজেপি ৮-৭ভোটে জিতে বোর্ড দখল করে। সিপিএম ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি। ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন তৃণমূলের সদস্যরা বাধা দেয় এবং কাগজ পত্র ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করে। বিজেপির সদস্যরা তাদের বাধা দিলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।বিজেপির হল্লিকা বাউরি প্রধান ও শান্তনু পাল উপপ্রধান নির্বাচিত হন।
নব নির্বাচিত উপপ্রধান শান্তনু পাল অভিযোগ করেন, দল ভাঙিয়ে পঞ্চায়েত দখল করার বহু চেষ্টা করে সফল হতে না পেরে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া বানচাল করার চেষ্টা করে তৃণমূল। বিজেপি রুখে দাঁড়ালে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত কচিন মান সহ তিনজনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছবি: প্রহৃত বিজেপি কর্মী
অপরদিকে টসে জিতে ছাতনার তেঘরি পঞ্চায়েত দখল করলো বিজেপি। আজ বোর্ড গঠন হয়। ১৬ সদস্যের তেঘরি পঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূল উভয়েই ৮টি করে আসন দখল করে। ফলে টাই হয়ে যায়। আজ সকালে টসের মাধ্যমে জয় পরাজয় নির্ধারিত হয়। টসে জিতে বিজেপি বোর্ড গঠন করে।প্রধান নির্বাচিত হন ঝুমা মন্ডল ও উপপ্রধান হন স্বপন মন্ডল। জেলার দুটি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে খুশি বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মন্ডল দুই পঞ্চায়েতের অধিবাসীদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বাকুঁড়ার সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার এই দুই অঞ্চলের সকল যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।