অপরাধের বিভিন্ন ঘটনার কথা শুনে হাড় হিম হয়ে যায় অনেকেরই। সম্প্রতি ভিয়েতনামের একটি ঘটনা সামনে এসেছে। যা শুনে অবাক নেটিজেনরা। ভিয়েতনামের এক দম্পতির মধ্যে ঘটেছে ওই অপরাধের ঘটনা। স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, তাঁর মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন তাঁর স্বামী।
এক দিন নয়, দীর্ঘ দিন ধরেই অত্যাচার চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এরই শাস্তি দিতে স্বামীর ছুরি দিয়ে স্বামীর যৌনাঙ্গ স্ত্রীকে কেটে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনভাবে স্বামীর যৌনাঙ্গ ওই মহিলা কেটেছেন, যা আর জোড়া লাগানো সম্ভব হয়নি চিকিত্দের পক্ষে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক হইচই পড়ে যায় ওই দেশে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির চিকিত্সার পর সেরে উঠেছেন।
ভিয়েতনামের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়ায় অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম হা থি গুয়েন। গুয়েন ভ্যান এইচ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। যদিও গুয়েনের এর আগে এক বার বিয়ে হয়েছিল এবং তাঁর আগের পক্ষের একটি মেয়ে ছিল। সেই মেয়ের বয়স এখন ১৫ বছর। নিজের মেয়েকে নিয়ে ভ্যানের সঙ্গেই থাকতেন গুয়েন। ভিয়েতনামের উত্তর পশ্চিমে সন লা প্রদেশে থাকতেন তাঁরা।
ওই মহিলার অভিযোগ তাঁর মেয়েকে একাধিক বার যৌন নির্যাতন করেছেন তাঁর স্বামী। কিন্তু তাঁকে হাতেনাতে ধরতে পারেননি স্ত্রী। সে কথা জিজ্ঞাসা করলে অভিযোগ অস্বীকার করতেন ওই ব্যক্তি। স্বামীকে ধরতে গোপন ক্যামেরা ঘরে লাগিয়ে রাখেন স্ত্রী। তাতেই নাকি ধরা পড়ে স্বামীর কীর্তি। এমনকি মেয়েকে নিগ্রহের সময় স্ত্রী হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্বামীকে। তখনই ছুরি দিয়ে যৌনাঙ্গ কেটে নেন বলে অভিযোগ।
এর পর রক্তাক্ত অবস্থায় আহত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানকার চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলা তাঁর স্বামীর যৌনাঙ্গ পুরোপুরি কেটে নিয়েছেন। এর জেরে তা আর জোড়া লাগানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের ফেসবুক পেজে গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। তা দেখে অবাক নেটিজেনরা।