Births Crisis: অচিরেই বিশ্ব জুড়ে সব দেশে ঘনাবে অন্ধকার! জন্মহার কমবে ভয়ংকর হারে…

 বিশ্বে বিপদের পর বিপদ। এবার জানা গেল জন্মহার কমার ভয়ংকর এই খবর। জানা গিয়েছে, অচিরেই বিশ্ব জুড়ে জন্মহার সাংঘাতিক হারে কমবে। এতদিন শুধু হাতেগোনা কয়েকটি দেশেই জন্মহার কমবার খবর পাওয়া যেত। এবার সেটা ছড়িয়ে যাচ্ছে বিশ্ব জুড়ে।

জানা গিয়েছে, চলতি শতাব্দীর শেষ দিকে বিশ্বের প্রায় সব ক’টি দেশের মানুষ তাঁদের প্রজনন সক্ষমতা অনেকটাই হারিয়ে ফেলতে পারেন। আর এতে খুব স্বাভাবিক ভাবেই জন্মহারের উপর প্রভাব পড়বে। কমবে জনসংখ্যা। ক’দিন আগে ‘ল্যানসেট’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই আভাস মিলেছে। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন গবেষণাটি করেছে। ওই লেখাটিতে বলা হয়েছে, ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২০৪টি দেশের মধ্যে ১৯৮টিরই জনসংখ্যা কমে যাবে। তবে দরিদ্র দেশগুলিতে জন্মহার বেশি থাকবে। সেই সময়ে প্রতি দুই শিশুর একজন আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে জন্ম নেবে। সোমালিয়া, টোঙ্গা, নাইজার, চাদ, সামোয়া ও তাজিকিস্তান তাদের জনসংখ্যার বর্তমান ধারা বজায় রাখতে পারবে।

‘গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজেস, ইনজুরিস অ্যান্ড রিস্ক ফ্যাক্টরস স্টাডি’ শীর্ষক গবেষণার অংশ হিসেবে সংগ্রহ করা তথ্যগুলির ভিত্তিতে নতুন এ গবেষণাটি করা হয়েছে। ১৯৫০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত হওয়া বিভিন্ন সমীক্ষা, শুমারি এবং অন্যান্য সূত্র থেকে তথ্যগুলি মিলেছে।

আইএইচএমইয়ের গবেষণা বলছে, ‘এর প্রভাব অপরিসীম। ভবিষ্যতে প্রজননহার ও জন্মহারের যে প্রবণতা দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হয়েছে, তাতে বিশ্ব-অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক ক্ষমতার ভারসাম্য পুরোপুরি পাল্টে যেতে পারে। এতে সমাজ পুনর্গঠনের প্রয়োজনও হতে পারে!’

গবেষকেরা বলছেন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তনের কারণে ‘বেবি বুম’ (জন্মহার বেড়ে যাওয়া) ও ‘বেবি বাস্ট’-এ (জন্মহার কমে যাওয়া) দেখা দিতে পারে একটা আড়াআড়ি বৈপরীত্য। এর অর্থ হল– একদিকে যেমন জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় ধনী দেশগুলি তাদের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ধরে রাখতে হিমশিম খাবে, অন্য দিকে তেমনই বাড়তে থাকা জনসংখ্যার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যেতে হবে দরিদ্র দেশগুলিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.