রাজ্যে পাখি চোরাচালানকারীদের দৌরাত্ম্যে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এবার মামলা দায়ের করলেন খোদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। বন দফতরের আধিকারিকদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।
স্রেফ শীতকালেই নয়, বছরভরই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাখি পাচারের চেষ্টা চালায় চোরা কারবারীরা। আবার ভিন রাজ্য থেকে পাখিদের চোরাপথে পাখিদের আনা হয় বাংলায়। মাস ছয়েক আগে পাটনা থেকে কলকাতায় পাচার হওয়ার সময় উদ্ধার করা হল প্রচুর টিয়া পাখি। যার মধ্যে বেশ কিছু হিল ময়নাও ছিল। বনদফতর সূত্রে খবর, সূত্র মারফত খবর মেলে যে, একটি ২০৭ গাড়ি করে পাটনা থেকে কলকাতায় প্রচুর পাখি আসছে। সেইমতো আগে থেকে জাতীয় সড়কে পৌঁছে গিয়েছিলেন দুর্গাপুর ফরেস্ট ডিভিশন ও বর্ধমান ফরেস্ট ডিভিশনের আধিকারিকরা। সন্দেহভাজন গাড়িগুলিকে আটক করতেই পাখিদের সন্ধান পাওয়া যায়। পাটনা, হাজারিবাগ থেকে, দুর্গাপুর, বর্ধমান হয়ে কলকাতা এবং অন্যান্য শহরে পাখিগুলো পাচার করা হচ্ছিল। মাঝপথে গাড়ি বদল করার সময়ে ধরা পড়ে যায় চোরা কারবারীরা।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ফের বেশ কয়েকন পাখির চোরা কারবারীকে ধরেছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। সংবাদমাধ্যম থেকে এ খবর পাওয়ার পর হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে শীতের মরশুমেও গৃহপালিত পাখি ও বিপন্ন পাখিদের বাঁচাতে উদ্যোগ নেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেবার রাজ্যে পাখি পাচার ও চোরাচালান বন্ধে কি পদক্ষেপ? রাজ্যে পাখি চোরাচালান রোখা কাদের দায়িত্ব? তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে।