এবার বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী দিতে দেয়নি তাদের অবস্থা অনুব্রত মণ্ডলের থেকেও খারাপ হবে।
আগামী ২৯ নভেম্বর কলকাতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভার জন্য বিজেপির কলকাতা চলোর ডাকে সভা করতে সোমবার রামপুরহাটে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রথমে রামপুরহাট শহরে পদযাত্রা করেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সহ সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল, মাফুজা খাতুন সহ জেলার নেতৃবৃন্দ। পদযাত্রা শেষে রামপুরহাটের পাঁচমাথা মোড়ে একটি সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বীরভূমের তৃণমূল নেতাদের কাছে ডিসেম্বর মাস ভয়ঙ্কর হবে বলে হুমকি দেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, “এদের অনুব্রতর থেকেও বাজে হাল হবে। ডিসেম্বর মাস ভয়াবহ হবে বীরভূমের নেতাদের কাছে। ভোট পরবর্তী হিংসা, পাথর চুরি আর মহম্মদ বাজারে জিলেটিন উদ্ধারে নাম পাওয়া গেছে একাধিক তৃণমূল নেতার। নামগুলো ডিসেম্বরে বলবো। এখন বলে দিলে নেত্রী বলবেন আমি সব জানি, তাই আগে বলে দিচ্ছি।”।
বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক ওরফে কাজল শেখকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “নতুন একটা পাখি উড়ছে, কাজল শেখ। নতুন পাখি, সঙ্গে ভাগ্নে বাপি। আমাদের সব নজরে আছে।”
সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলামকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আপনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে প্রার্থী দিতে দেননি। ডিসেম্বরের মধ্যেই তার ফল পাবেন। আপনাদের অবস্থা অনুব্রত মণ্ডলের থেকেও খারাপ হবে”।
রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, “এখানকার এমএলএ তো ফুলবাবু, অধ্যাপক,
ভদ্রলোক। এমন ভদ্রলোক যে রামপুরহাটের বগটুই গিয়েছিলেন, পীড়িত নিহতদের পরিবার তাঁকে তাড়া করেছিল। তারও একটা ভাইপো আছে। কলকাতায় যেমন একটা বড় ভাইপো আছে তেমন এখানেও একটা ছোট ভাইপো আছে। তিনি বালি, পাথর সবই খান।”