বীরভূমে পাথরবোঝাই লরিচালকের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা আদায় করার অভিযোগ উঠল। ভুয়ো সরকারি বিল ছাপিয়ে সেই টাকা তোলা হয়েছে বলেও দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। ওই মামলায় চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, অবিলম্বে বেআইনি ভাবে ওই টাকা তোলা বন্ধ করতে হবে। এই মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-সহ সমস্ত পক্ষের আইনজীবীদের এজলাসে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।
হাই কোর্টে ওই জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন ধ্রুব সাহা নামের এক ব্যক্তি। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলাটির শুনানি হয়। সেখানে ধ্রুব আদালতকে জানান, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিল্প, বাণিজ্য এবং উদ্যোগ দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, খাদান থেকে পাথর তুললে সরকারকে প্রতি কিউবিক মিটার পাথরের পরিবর্তে ১৩০ টাকা করে রাজস্ব দিতে হয়। খাদান যিনি লিজ নিয়েছেন, ওই টাকা ‘গ্রিপ’ চালানের মাধ্যমে একমাত্র তাঁর কাছ থেকেই আদায় করা যায়। মামলাকারীর আরও দাবি, নলহাটি, মুরারই-সহ বীরভূমের একাধিক খাদান এলাকায় বেআইনি ভাবে সরকারি বিল ছাপিয়ে পাথর বোঝাই ট্রাক বা লরিচালকের কাছ থেকে টাকা তোলা হচ্ছে।
ধ্রুব তাঁর অভিযোগে আদালতকে জানিয়েছেন, বিষয়টি জানার পরেই তিনি সংশ্লিষ্ট থানায় চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন। অনুরোধ করেন, পুলিশ যাতে এই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করে এবং বেআইনি ভাবে টাকা আদায় বন্ধ করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করে। পাশাপাশি বীরভূমের জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, ভূমি সংস্কার আধিকারিককেও বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেন ধ্রুব। আদালতে তিনি বলেন, ‘‘ওঁদের সই জাল করে বেআইনি ভাবে টাকা তোলা চলছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওঁদের কাছ থেকে কোনও জবাব আসেনি।’’
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১ নভেম্বর।