ভিন দেশে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হলো বীরভূমের এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম আব্দুল হামিম (৩৫)। বাড়ি বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার মোল্লা পাড়ায়।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আব্দুল হামিম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কম্বোডিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে একটি বেসরকারি সংস্থায় ডেটা এন্ট্রি পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। গত ২২ মে তার সঙ্গে পরিবারের লোকজনদের মোবাইলে শেষ কথা হয়। ২৫ মে মাড়গ্রাম থানার পুলিশের মাধ্যমে বাড়িতে খবর দেওয়া হয় কম্বোডিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে মৃত্যু হয়েছে আব্দুল হামিমের। মৃত্যুর খবর পেতেই শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা। সুদূর কম্বোডিয়া থেকে মৃতদেহ নিয়ে আসতে প্রায় ছ’লক্ষ টাকা খরচ। সেই টাকা কিভাবে জোগাড় করবেন সেটাই ভেবে কূল পাচ্ছেন না মৃত আব্দুল হামিমের পরিবার।
এদিকে মৃত ছেলের শবদেহ ফিরে পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন তার পরিবারের লোকজন। তারা পুলিশের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
বাবা আব্দুল লথিফ বলেন, “পেটের দায়ে বিদেশে কাজ করতে গিয়েছিল। এজেন্টের মাধ্যমে বিদেশে কাজ করতে গিয়েছিল। এখন সেই এজেন্ট কোন দায়িত্ব নিচ্ছে না। ফোন করলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। এখন ফোন ধরছে না। ফলে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি”।
মৃতের স্ত্রী মাইনা পারভিন বলেন, “সাড়ে তিনমাস আগে কাজ করতে বিদেশে গিয়েছিল। ইচ্ছে ছিল কিছু বেশি আয় করে বাড়ি ফিরবেন। ২৫ মে মাড়গ্রাম থানা মৃত্যু সংবাদ দেয়। কিন্তু কিভাবে মৃত্যু হল, কোথাও ভর্তি ছিল কিনা কোন তথ্য দেয়নি। অথচ ২০ মে যখন আমার সঙ্গে কথা বলেন তখন অসুস্থতার কোন লক্ষণ ছিল না। তাই আমাদের দাবি, আমাদের সরকার তদন্ত করে দেখুক সে জীবিত না মৃত, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে আনা হোক। আমাদের পক্ষে ছয় লক্ষ টাকা খরচ করে স্বামীকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়”।