কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল সিপিএম নেতৃত্বের। এবার আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ‘আবদার’ সামলাতে গিয়েও কালঘাম ছুটছে আলিমুদ্দিনের। মঙ্গলবারের বৈঠকের পর অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) ও বিমান বসু (Biman Basu) অবশ্য ঘোষণা করলেন, আসন সমঝোতা চূড়ান্ত। ব্রিগেড সমাবেশে থাকতে চলেছে বাম (Left), কংগ্রেস (Congress) ও আইএসএফ (ISM)।
কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে বাম নেতৃত্বের। জোটে যুক্ত হতে চলেছে আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddique) দলও। তা স্পষ্ট প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের কথাতেই। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) বলেন,’সমঝোতা চূড়ান্ত। নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে রাজ্যে। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট, আরজেডি, এনসিপির মতো ছোট দলগুলি আস্থা প্রকাশ করেছে। সমমনোভাবাপন্ন দলগুলির সম্মান রাখতেই এখন আসন সংখ্যা প্রকাশ করছি না।’ বিমান বসুর (Biman Basu) কথায়,’আমরা চাই, একুশের নির্বাচনে বাম, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নিক। বৃহত্তর ব্রিগেড সমাবেশ হতে চলেছে।’ নেতারা প্রকাশ করতে না চাইলেও কংগ্রেসকে ১১০টি আসন ছাড়া হয়েছে বলে খবর।
তবে বাম-কংগ্রেস নেতাদের দোটানায় ফেলেছেন আব্বাস সিদ্দিকি। সূত্রের খবর, অন্তত ৭২টি আসন দাবি করেছে আইএসএফ (ISF)। আলোচনার পর তারা ৫০টিতে নেমেছে। কিন্তু, তার মধ্যে এমন কয়েকটি আসন দাবি করেছে তারা, যেগুলি ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে রফা করে ফেলেছে বামেরা। কংগ্রেস ওই আসনগুলি ছাড়তে নারাজ। এমতাবস্থায় আইএসএফ-র নেতৃত্বকে বুঝিয়ে ২৫ থেকে ৩০টি আসনের মধ্যে রফা করে ফেলতে চাইছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব।
আগামিকাল, বুধবার আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddique) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মহম্মদ সেলিম (Md Salim) ও আবদুল মান্নান (Abdul Mannan)। ওই বৈঠকে আব্বাস সিদ্দিকিকে বাস্তবতা বোঝানো হবে। তিনি রাজি হলে ৩০টির মতো আসন ছেড়ে জোট পাকা করে ফেলতে চাইছে দুই শিবির। এর পাশাপাশি হিন্দিভাষী এলাকাগুলিতে আরজেডি-কেও আসন ছাড়া হচ্ছে। শরিক হচ্ছে এনসিপি-ও। অধীর চৌধুরী এ দিন দাবি করছেন, আগে নির্বাচন হয়ে উঠেছিল তৃণমূল বনাম বিজেপির। এবার বাম-কংগ্রেস জোটও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। লড়াইটা এখন তৃণমূল, বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোটের।