ইডির তরফে আদালতে দাবি করা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্য গোটা পরিবারকে নিয়ে বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। বিশ্ব ভ্রমণও সেরেছেন মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা দিয়েই এই বিদেশ ভ্রমণ করেছেন মানিক ভট্টাচার্যের পরিবার বলে অনুমান। আর এই প্রসঙ্গে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, বিপদে পড়লেন তৃণমূলের নেতারা বিদেশে যান, অনেকে আবার চোখ দেখাতেও বিদেশে যান।
সুকান্ত বলেন, “এই দুর্নীতির টাকাতে কতজন কতজনের স্বপ্ন পূরণ করেছে। কেউ বিশ্ব ভ্রমণ করেছে। কেউ হয়তো চোখের ট্রিটমেন্ট করাতে বিদেশে গিয়েছেন। বিপদে পড়লেই তৃণমূল কংগ্রেসের বড় নেতারা বিদেশে চলে যান। চাপ যত বাড়ছে চাপ রিলিজ করতে একটু বিদেশ ভ্রমণে যেতেই হবে মনে হচ্ছে কিছু নেতাদের।”
এই কথার মাধ্যমে বিজেপির রাজ্য সভাপতি যেমন বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তেমনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও নিশানা করেছেন। কিছুদিন আগেই অভিষেক নিজের চোখের চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। এমনকি তার চশমার দাম নিয়েও কটাক্ষ করেছেন বিরোধী নেতারা।
নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে অয়ন শীলের গ্রেফতারের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, তাদের কাছে খবর আছে, অয়ন শীলের সাথে ভাইপোর অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যাট হয়েছে এবং অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে ভাইপোর অ্যাকাউন্টে টাকা আদান প্রদান হয়েছে।
অন্যদিকে আদালত মানিক ভট্টাচার্যকে ১৮ই মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী দু’মাস প্রেসিডেন্সি জেলে কাটাতে হবে এই তৃণমূল বিধায়ককে।