কাবুল বিমানবন্দরে ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। প্রাথমিক ভাবে ১২ থেকে ২০ জনের খবর এলেও পরবর্তীতে তৃতীয় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠার পর খবর মেলে যে ১৩জন মার্কিন সেনা সহ ৭০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণনাশ হয়ে থাকতে পারে এই বিস্ফোরণের। এরই মধ্যে আইএসআইএস এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। আর গোটা ঘটনায় আরও চাপ সৃষ্টি হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওপর। যদিও চাপের মুখেই জঙ্গিদের উদ্দেশে পাল্টা হুঙ্কার ছাড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হামলা সংক্রান্ত বিবৃতি দিতে গিয়ে জঙ্গিদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, বড় আকারের সামরিক অভিযান লাগবে না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করব।
বাইডেন এই হামলার প্রেক্ষিতে দাবি করেন, ঘটনার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান জঙ্গি গোষ্ঠীর হাত রয়েছে, তা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে আমেরিকার কাছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমা করব না। আমরা ভুলব না। আমরা তোমাদের খুঁজে বার করব। আর এর দাম তোমাদের দিতে হবে। আইএসআইএস-এর যে নেতারা এই বিস্ফোরণের নির্দেশ দিয়েছে, তাদের খুঁজে বার করব আমরা। আমরা অনুমান করতে পারি কারা এই কাজের পিছনে রয়েছে। বিশাল কোনও সামরিক অভিযান ছাড়া কীভাবে তাদের সন্ধান পেতে হয়, সেই উপায় আমরা বের করে ফেলব।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, তালিবানরা কাবুলের দখলের নেওয়ার পর জেলে বন্দি থাকা সকলকেই মুক্ত করে দেয়। মুক্তি প্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান জঙ্গি গোষ্ঠীর বহু সদস্য। আফগানিস্তানের জেল থেকে এভাবে নির্বিচারে জঙ্গিদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে সরকার গঠনের চেষ্টায় থাকা তলিবানও। এদিকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে এই জঙ্গি গোষ্ঠী মার্কিন সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল। একথা উল্লেখ করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে এই সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করে মার্কিন নাগরিকদের বিমানবন্দরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতেও বলা হয়েছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানান রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তেনিও গুতেরেস। হামলার প্রেক্ষিতে গুতেরেস বলেন, এই ঘটনায় প্রমাণিত আফগানিস্তান কতখাটা অস্থির অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি ভারও, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নও এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে তালিবানের তরফেও।