ইজ়রায়েল-হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে এই যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সরাসরি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করেছেন তিনি। ট্রাম্পের দাবি যে, তিনি যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকতেন তবে কখনই গত বছর ৭ অক্টোবর হামাস হামলা চালাতে পারত না। শুধু তা-ই নয়, বাইডেনকে ‘বোকা’ বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ট্রাম্প।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধ, সেই যুদ্ধে বাইডেনের ভূমিকা-সহ একাধিক ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ট্রাম্প। বাইডেনের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘তিনি এক মুখে দু’কথা বলতে পারেন না। এমনকি, তিনি কথা বলতেও পারেন না ঠিক করে। তিনি এক জন বোকা মানুষ। তাঁর বিদেশনীতি খুবই ভয়ঙ্কর।’’
হামাসের হামলার জন্য সরাসরি বাইডেনকেই দায়ী করলেন ট্রাম্প। এর পরই তিনি দাবি করেন, ‘‘আমি যদি প্রেসিডেন্ট থাকতাম কখনই এমন ঘটনা ঘটত না। বাইডেনের প্রতি হামাসের কোনও সম্মান নেই। তিনি কখনই ইজ়রায়েলের বন্ধু নন। কারণ তিনি যদি ইজ়রায়েলের বন্ধু হতেন তবে হামাস কখনই ৭ অক্টোবর হামলা করতে পারত না।’’
তবে এই চলমান যুদ্ধ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে ইজ়রায়েলকে সতর্ক করেছেন, যদি এ ভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যায় তবে তারা আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাতে পারে। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর গাজ়া থেকে হামাসের আল কাশাম ব্রিগেডের ইজ়য়ারেলি ভূখণ্ডে হামলার পর থেকে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহুর সেনা। সমস্ত ইজ়রায়েলি পণবন্দির মুক্তি না-মেলা পর্যন্ত কোনও অবস্থাতেই সামরিক অভিযান বন্ধ রাখা হবে না বলে জানিয়েছে ইজ়রায়েল।
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পাল্টা আক্রমণকে সমর্থন করেছেন ট্রাম্প। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জানান যে, যদি তিনি এমন হামলার মুখোমুখি হতেন, তবে তিনিও একই পথ অবলম্বন করতেন। তবে পাশাপাশি ট্রাম্প এও মনে করেন, ‘এ বার যুদ্ধ থামা উচিত।’’
অন্য দিকে, রমজান মাসে গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে আমেরিকা। যা ভাল ভাবে নেয়নি নেতানিয়াহু সরকার। প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরেই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আমেরিকায় কূটনৈতিক প্রতিনিধিদলের সফর বাতিল করেন।