বিসর্জনের আগেই তিনটি মা কালীর মন্দিরে চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ওড়গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ভাতার থানার পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , ভাতারের ওড়গ্রামের নতুনপাড়া এলাকায় বড়মার মন্দির শতাব্দী প্রাচীন। সোমবার রাতে ওই মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে । বড়মা মন্দির থেকে কয়েকশো মিটার দূরে ওড়গ্রামের রায়পাড়ার ক্ষ্যাপামা মন্দিরেও চুরির ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে চুরি হয় পাশের ছোটমার মন্দিরেও ।
জানা গেছে ভাতারের ওড়গ্রামে নতুন পাড়ায় বড়মা পুজো পারিবারিক হলেও এক বছর পাল পরিবার ও দু’বছর ষোল আনার দ্বারা পুজো পরিচালনা হয়। এবছর পরিবারের পুজোর দায়িত্বে ছিল পাল পরিবার। পুজোর আগে মাকে গয়না পড়ানো হয় এবং বিসর্জনের আগে তা খুলে রেখে মাকে বিজয়া করা হয়। এখন সোমবার সন্ধ্যা থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। রাত ১২টা পর্যন্ত মন্দির সংলগ্ন এলাকায় লোকজন ছিল। তবে কমিটির তরফে রাতে মন্দিরে কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না।
এরপরই মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা লক্ষ্য করেন মায়ের গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বড়মার অঙ্গ থেকে প্রায় পাঁচ ভরি সোনার গয়না এবং ১০০ ভরি রূপোর গয়না চুরি গিয়েছে। পাশাপাশি ওড়গ্রামে রায়পাড়ায় ক্ষ্যাপামা মন্দিরেও একই রাতে চুরির ঘটনা ঘটে । মন্দিরের সেবাইত শান্তি আঁকুড়ে রাতে মন্দিরেই শুয়ে ছিলেন। সকালে তাঁর নজরে আসে দেবী প্রতিমার অঙ্গ থেকে রূপোর মুকুট, সোনার হার দুষ্কৃতীরা নিয়ে পালিয়েছে । স্থানীয়রা জানান ক্ষ্যাপামার মন্দির থেকে প্রায় ১৫ ভরি সোনার গয়না ও ১০০ ভরি রূপোর সাজ চুরি গিয়েছে।
পাশের ছোটমার মন্দিরও বেশ কিছু গয়না চুরি গিয়েছে। ভাতার থানার পুলিসকে খবর দেওয়া হলে, পুলিস আসে। পুলিশস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তিনটি মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। এই ঘটনায় পুজোর আনন্দে ভাটা পড়েছে। উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।