কল্যাণীতে জাতীয় কৃষক দিবস পালন করল ভারতীয় কিষাণ সংঘ

আগামীকাল শনিবার জাতীয় কৃষক দিবস। কিন্তু তার দু’দিন আগেই বৃহস্পতিবার তা পালন করল ভারতীয় কিষাণ সংঘ। বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইরেক্টর অফ এক্সটেনশন এডুকেশন হলে এই সভা হল।

এদিন শুরুতেই বক্তব্য রাখেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সংগঠন সম্পাদক অনিল চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ভারতীয় কিষাণ সংঘ মূলত তিনটি পর্যায়ে কাজ করে। সংগঠনাত্বক, আন্দোলনাত্বক ও চরণাত্বক। পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় কিষাণ সংঘের কাজ ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে জানান তিনি।

ড. মানবেন্দ্র রায় বলেন, যেখানে জলের অভাব আছে, বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া -এই সব অঞ্চলে মিলেট চাষ লাভজনক হতে পারে। মিলেট খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।

অরিত্র ঘোষ দস্তিদার বলেন, ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ভাবে চাষিদের মধ্যে প্রযুক্তি সম্প্রসারণেরও কাজ চলছে। একই সাথে বৌদ্ধিক ভাবেও সাহায্য করা হচ্ছে।

রজত বিশ্বাস বলেন, ভারত সরকার কৃষকদের জন্য কৃষক স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে। তাদের জন্য কিষাণ সম্মান নিধি’র ব্যবস্থা করেছে, যার দ্বারা কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

ভারতীয় কিষাণ বার্তা’র সম্পাদক এবং প্রান্তসদস্য মিলন খামারিয়া বলেন, ভারত কৃষি প্রধান দেশ। কৃষকরা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে শক্তিশালী না হলে ভারত কোনোদিনও উন্নত রাষ্ট্র হতে পারবে না। কৃষককে তার উৎপাদিত ফসলের লাভকারী মূল্য দিতে হবে। জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ ফিরিয়ে আনতে হবে।

অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, প্রাচীন ভারতের কৃষি ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সবুজ বিপ্লব করতে গিয়ে আমরা দেশে ‘বিষের বিপ্লব’ ঘটিয়ে ফেলেছি। এই বিষ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।

আজকের এই অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল ভারতীয় কিষাণ সংঘ, ABRSM ও ABVP এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ড. কল্যাণ জানা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের প্রচারপ্রমূখ ড. কল্যাণ জানা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.