শুধু হোটেল রুমে ঢুকে মারধর, হেনস্থা করা-ই নয়, তাঁকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণও করা হয়। কর্ণাটকে যুগলকে নিগ্রহের ঘটনায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ওই ঘটনায় একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। যে ভিডিয়োতে নির্যাতিতা মহিলা অভিযোগ করেছেন যে, তাঁকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা।
বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলে ৬ জন লোক সহসা লজের ঘরে ঢুকে পড়ে। তারপর এক যুগলকে নিগ্রহ করে। ওই যুগল দুই ভিন্ন ধর্মবিশ্বাসী। তাহলে কেন তাঁরা পরস্পর এই সম্পর্কে আবদ্ধ? এই কারণেই নিগ্রহ করা হয় ওই যুগলকে। এমনই অভিযোগ। সেই ঘটনাতেই এবার গণধর্ষণের অভিযোগ সামনে এসেছে। পুলিস সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে। ৭ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ওই নির্যাতিতা মহিলা। তাঁর অভিযোগ, হোটেলের রুমে মারধর, হেনস্থা করার পর নিগ্রহকারীরা তাঁকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। তারপর পালাক্রমে তাঁকধর্ষণকরে।
গতকাল ভিডিয়োটি প্রকাশ করেন ওই নিগৃহীতা মহিলা। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, জঙ্গলের ভিতর ধর্ষণ করার পর, হামলাকারীরা জোর করে তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে শহরের চারপাশে ঘোরায়। এমনকি ভিডিয়োতে তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, ‘ গাড়িচালকও আমাকে ধর্ষণ করেছে। পরে তারা আমাকে একটি বাস স্টপে নামিয়ে দেয়।’ দোষীদের সকলের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই মহিলা। এই ঘটনায় পুলিস জানিয়েছে, প্রথমে তাদের ধর্ষণের কথা বলা হয়নি। পরে তারা ভিডিয়োর কথা জানতে পারেন।
পুলিস আরও জানিয়েছে, নিগৃহীতা মহিলা বিবাহিত। যে ব্যক্তির সঙ্গে তিনি হোটেলে চেক-ইন করেছিলেন, তাঁর সঙ্গেই সম্পর্কে রয়েছেন। হামলাকারীরা তাঁদের নিগ্রহের ভিডিয়োও করে। যাতে তারা এই ঘটনার কথা কাউকে না জানায়, তাই তাঁদের ব্ল্যাকমেইল করার জন্যই ভিডিয়ো রেকর্ড করে। ভিডিয়োতে দেখা যায়, ৬ জন লোক হাভেরি জেলার হানাগাল তালুকের লজের ঘরের বাইরে অপেক্ষা করছে। রুম নম্বর রেকর্ড করার পরে, তারা দরজায় ধাক্কা দেয় এবং অপেক্ষা করে। তারপর দরজা যখন ভিতর থেকে একটু খোলা হয়, তখনই তারা ঠেলে রুমের ভিতর ঢুকে পড়ে এবং সরাসরি মহিলার দিকে যায়।
ওই মহিলা বোরখা দিয়ে তাঁর মুখ ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু মহিলার প্রতি কোনও সম্ভ্রমই তারা দেখায় না। নিগ্রহকারীরা তাঁকে এত জোরে আঘাত করে যে, তিনি মাটিতে পড়ে যান। তাঁকে মারধরও করে। টেনে-হিঁচড়ে মেঝেতে শুইয়ে দেয়। নিগ্রহ করা হয় ওই মহিলার সঙ্গীকেও। এই ঘটনায় ৭ জনের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।