রাজ্যের প্রথম বন্দে-ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন ৩০ ডিসেম্বর। মোদীর হাত ধরেই হবে উদ্বোধন। তা প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত। হাওড়া-এনজেপি বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস। ভোরে হাওড়া থেকে ছেড়ে দুপুরের মধ্যেই পৌঁছে যাবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। হাওড়া থেকে এনজেপি পৌঁছাতে সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা। ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। পুরো যাত্রাপথে থাকবে একটিমাত্র স্টপেজ। মালদা স্টেশনে থামবে বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস। পুরো ট্রেনটি-ই চেয়ার কার। পুরো ট্রেনটি-ই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ও থাকছে ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধা।
প্রসঙ্গত, কদিন আগেই শিলিগুড়ি জংশন রেলস্টেশেন এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় সাংসদ রাজু বিস্ত বলেন, কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে শিলিগুড়ি শহরের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পরিষেবা চালু হবে খুব শিগগিরই। শিয়ালদা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হলে মানুষ তাঁদের গন্তব্যে আরও দ্রুত পৌঁছতে সক্ষম হবে। যারফলে এলাকার মানুষের সুবিধা হবে। এলাকার উন্নয়নে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।
সেমি হাই-স্পিড ট্রেন, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, ভারতে প্রথম চালু হয় ২০১৯-এ। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (ICF)তে তৈরি এই সেমি হাই-স্পিড ট্রেনটিতে রয়েছে উন্নতমানের ব্রেকিং সিস্টেম। যা একদিকে যেমন ট্রেনটির গতি বাড়াতে সাহায্য করে। ঠিক তেমনই আবার গতি কমাতেও। সমস্ত কোচেই রয়েছে স্বয়ংক্রিয় দরজা, যাত্রীদের জন্য জিপিএস-ভিত্তিক অডিও-ভিস্যুয়াল তথ্যপ্রদান ব্যবস্থা। এমনকি ট্রেনেও রয়েছে ওয়াই-ফাই। পাশাপাশি, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে আরামদায়ক আসন। এগজিকিউটিভ ক্লাসে রয়েছে ঘোরানো চেয়ারও।
ইতিমধ্যে ভারতজুড়ে বিভিন্ন রুটে পাঁচটি বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস চলছে। যারমধ্যে সর্বশেষ ও নয়া সংযোজন মাইসুরু-চেন্নাই বন্দে-ভারত এক্সপ্রেসটি। বেঙ্গালুরুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই এই ট্রেনটির শুভ সূচনা করেন। দক্ষিণ ভারতের এটাই প্রথম বন্দে-ভারত এক্সপ্রেস। এর আগে, উনা এবং নয়াদিল্লির মধ্যে হিমাচল প্রদেশের প্রথম বন্দে-ভারতেরও যাত্রা শুরু হয়েছে। বাকি বন্দে-ভারত এক্সপ্রেসগুলি চলছে মুম্বাই-আহমেদাবাদ, নয়া দিল্লি-বারাণসী এবং নয়াদিল্লি- বৈষ্ণোদেবী কাটরা রুটে। এবার এই বন্দে-ভারতের রুটে জুড়বে বাংলার নামও।