প্রায় ১২ দিন পর দক্ষিণবঙ্গে সম্পূর্ণ রূপে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ হবে শুক্রবার বিকেলের মধ্যে। তবে বিপর্যয় ঘুর্নিঝড় প্রচুর জলীয় বাষ্প টেনে নেওয়ায় এখনও কিছুটা দুর্বল দক্ষিনের মৌসুমী বায়ু। ফলে শুরুতেই ভারী বৃষ্টি নামাতে ব্যর্থ বর্ষা। অন্যদিকে উত্তরে ভারী বর্ষণ জারি। রবি ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে। কোনও কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।
দক্ষিণবঙ্গ
ঝাড়গ্রাম জেলা এবং পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু অংশ বাদে বাকি সর্বত্র ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে মৌসুমী বায়ু। আজ বিকেলের মধ্যে এই ৩ অংশেও বর্ষার প্রবেশ হবে। ক্যানিং থেকে আরও একটু এগিয়ে হলদিয়ার উপর দিয়ে এখন অবস্থান করছে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু।
গত সাত দিনের মতো শুক্রবারও উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে উত্তরবঙ্গে।
আজ ও কাল উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ সহ প্রায় গোটা রাজ্যজুড়েই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বাজ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়াবিদরা। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। প্রয়োজনে দামিনী অ্যাপ ডাউনলোড করে বজ্রপাতের সম্ভাবনা দেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বজ্রপাতের সতর্কতা থাকলে নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে শুক্রবার। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে আজ কিছু জায়গায় মাঝারি বৃষ্টি হবে। রবি এবং সোমবার এই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তবে উত্তরবঙ্গের মতো ভারী বা অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে কম। উত্তরবঙ্গে মৌসুমি বায়ু অত্যন্ত শক্তিশালী হলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও ততটা শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি মৌসুমী বায়ু।
কলকাতা
মহানগরে আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যাবে। দুপুর বা বিকেলের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু এলাকায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির আগে পরে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ভোগাবে। তাপমাত্রা কমার পথে।
পরিসংখ্যান
দিনের তাপমাত্রা ৩৫.১ ডিগ্রি থেকে কমে ৩৩ ডিগ্রি হয়েছে। রাতের তাপমাত্রা ২৯.১ থেকে কমে ২৮ ডিগ্রি হয়েছে। বাতাসে জলীয়বাষ্প ৯২ শতাংশ। আলিপুরে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি ৪.৬ মিলিমিটার।