যাত্রীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাপিস মূল্যবান জিনিসপত্র। ভিড় বাসে কেউ আপনার উপরে বমি করে দিলেন। কী করবেন আপনি? মারাত্মক বিরক্ত হয়ে বাস থেকে নেমে সাফসুতরো হওয়ার চেষ্টা করবেন নিশ্চয়। কিন্তু সেসব করা চেষ্টার ফাঁকে কাজ সেরে নিচ্ছে চোররা। এমনই একটি গ্যাংয়ের ২ জনকে ধরেছে ঢাকা পুলিস। শুক্রবার এমনই দুই চোরকে কৃষি দফতরের অফিসের সামনে থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
কীভাবে কাজ করে ওইসব ধুনদ্ধর চোররা? পুলিস বলছে বাসে ওঠে ওইসব চিনতাইবাজদের ৪-৫ জনের গ্যাং। এরপর তৈরি করে একটি কৃত্তিম জটলা। হাঁসফাঁস অবস্থা। তার মধ্যেই গ্যাংয়ের একজন কোনও এক যাত্রীর উপরে বমি করে দেয়। ওই ব্যক্তি তা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়লে চোররা তার জিনিসপত্র নিয়ে কেটে পড়ে। আবার ওই চুরি যদি কেউ দেখে ফেলে বা প্রতিবাদ করে তাহলে তাকেই মারধর করে হইহট্টগোল পাকিয়ে বাস থেকে নেমে পড়ে।
রোজকার ব্যস্ত ঢাকায় এই জিনিস চলে হামেশাই। ধরাপড়লেই অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় চোররা। আর তা না হলে তো পোয়া বারে। যাত্রীদের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নেমে পড়ে ছিনতাই গ্যাং। ওই চক্রের অনেককেই চেনে বাস বা যাত্রীবাহী যানবাহনের চালক বা খালাসিরা। পুলিসের দাবি, চুরির জিনিসের ভাগ পায় তারাও। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় সুমন হাসান ও আবুল হোসেন নামে ২ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
তেজগাঁও থানার ওসি ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, গত শুক্রবার রাতে বাসে উঠেছিল বমি গ্যাংয়ের কয়েকজন সদস্য। তাদের একজন এক যাত্রীর মাথায় বমি করে দেয়। এর ফাঁকে ওই যাত্রীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চিনতাইকারীরা। তিনি ওই ঘটনা দেখে ফেললে তাঁকেই মারতে থাকে ছিনতাইকারীরা। পরে অন্যান্য যাত্রীরা এগিয়ে এলে তিনজন পালিয়ে যায়। ধরা পড়ে যায় ২ জন। চুরি যাওয়া ২০ হাজার চাকা ও ২টি ছুরি তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।