দক্ষিণবঙ্গে এই মুহূর্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। মৌসুমী অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গের উপর। ঘূর্ণাবর্ত প্রচুর মেঘ তৈরি করেছে, যার প্রায় সবটাই দক্ষিণ বঙ্গের উপর। এর জেরে আজও বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা,হাওড়া,পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে আগামী ৪ থেকে ৫ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। যেহেতু ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বঙ্গোপসাগরের উপর তাই দক্ষিণবঙ্গে বেশি বৃষ্টি হবে। কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা ৩৪.৮ডিগ্রি। রাতের তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি। রবিবার থেকে কলকাতার তাপমাত্রা কমবে। আগামী পাঁচ থেকে সাত দিন মৌসুমী বায়ু বেশি সক্রিয় থাকবে দক্ষিণবঙ্গে।
অগাস্ট মাসে এতো গরম!পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে অগস্টে রাতে এত গরম দীর্ঘদিন পড়েনি কলকাতায়, এর কারণ দুর্বল বর্ষা। আবহবিদরা বলছেন, দেশের পাহাড়ি রাজ্য বাদে বাকি অংশের অবস্থা শোচনীয়। এমন শুকনো অগস্ট গত ১২৩ বছরে দেখেনি দেশ। বৃষ্টি কম, তাই রেকর্ড তাপমাত্রাতেও। এ বার ১২৩ বছরের উষ্ণতম অগস্টের সাক্ষীও ভারত। চলতি মরসুমে বর্ষার শুরুটা ভাল হয়নি। কেরলে যাত্রা শুরু হয় দেরিতে। ১০ শতাংশ ঘাটতি নিয়ে শেষ হয় জুন। জুলাইয়ে মারকাটারি ফর্মে ছিল বর্ষা। ১৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি দেশে। বন্যার কবলে পড়ে গুজরাত থেকে রাজস্থান, ওড়িশা থেকে মহারাষ্ট্র।
অগস্টের প্রথম সপ্তাহ শেষ হতে না হতেই ছবিটা বদলে যায়। একটানা বৃষ্টি হিমালয়ের কোলে থাকা রাজ্যে। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে কাঙ্ক্ষিত মাত্রার থেকে কম বৃষ্টি। বাকি দেশ প্রায় শুকনো। গুজরাতে ৯০ শতাংশ, রাজস্থানে ৮০ শতাংশ, কর্নাটকে ৭৪ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, গোটা অগস্টে দেশে গড়ে মাত্র ১৬২.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ৩৬ শতাংশ ঘাটতি। মৌসম ভবনের তথ্য বলছে, অগস্টে ১৯০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৭ বার ২০০ মিলিমিটারের কম বৃষ্টি হয়েছে দেশে। চলতি শতাব্দীতে মাত্র ৩ বার, ২০০৫, ২০০৯ ও ২০২১ সালে। কম বৃষ্টি পেয়েছে দেশ।
অগস্টের প্রথম সপ্তাহের শেষে কিছুটা বদলায় ছবিটা। কিন্তু মাসের শেষে দেখা যায় ৫ থেকে ১৬ অগস্ট ও ২৭-৩১ অগস্ট, সবমিলিয়ে বিগত মাসে ১৭ দিন ব্রেক মনসুনের মেয়াদ। তার ফলে উত্তর-পশ্চিম ভারতে গরম, শুকনো হাওয়ার দাপট বেড়েছে প্রায় গোটা দক্ষিণ বঙ্গে। ঠিক যেমনটা হয় বর্ষার আগে। আশার কথা একটাই, সেপ্টম্বর মাসে এই ঘাটতি অনেক টাই পুষিয়ে যাবে বলে পূর্বাভাস। তাতে পুজোর প্রস্ততি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা।