শনিবার দক্ষিণ এবং উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া এবং হুগলি জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দমকা হাওয়া। বৃষ্টি হওয়ার আগে পর্যন্ত চূড়ান্ত ঘর্মাক্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির শিকার হতে পারেন লাইনে দাঁড়ানো ভোটার এবং ভোট পরিচালনার কাজে নিযুক্ত কর্মীরা। দিনের যে কোনও সময় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই বৃষ্টি হবে।
গণনার দিন ৪ জুন বিক্ষিপ্তভাবে কলকাতা এবং নদিয়া এবং হুগলি জেলায় হালকা বৃষ্টি। দুই ২৪ পরগনা জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টি। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সমস্ত জেলায় গণনার দিন দু-এক পশলা বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস। উত্তরের আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় সেদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। দক্ষিণের দুই বর্ধমান, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় সেদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
এদিকে বর্ষা এল বঙ্গে। দেশের পূর্বাঞ্চলের রাজ্য-সহ উত্তরবঙ্গের হিমালয় পাদদেশে কাল রাতে প্রবেশ করল মৌসুমী বায়ু। এর জেরে আগামী ৭ দিন উত্তরের সমস্ত জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস। দক্ষিণবঙ্গে আগামী ৫ দিন দিনের বিভিন্ন সময় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। জেলাভিত্তিক কোথাও ২৫ কোথাও বা ৭৫ শতাংশ জেলা এলাকা জুড়ে বৃষ্টি হবে। পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে আজ কিছুটা বেশি বৃষ্টি হবে। বর্ধমান, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ জেলায় বৃষ্টির সঙ্গে হাওয়ার গতিবেগ ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার থাকতে পারে। বর্ধমান এবং বীরভূম জেলায় আজ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তরের সব জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় সব থেকে বেশি বৃষ্টি হবে।
শহর কলকাতায় সকাল ৭ টা থেকে অস্বাভাবিক জলীয় বাষ্পের কারণে ঘেমে নেয়ে একাকার হবে মানুষ। ঘরে বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলবে না। দুপুরের পর বা বিকেলের দিকে বজ্র বিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বৃষ্টির সময় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া। বজ্রপাতের সতর্কতা জারি। নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ হাওয়া অফিসের। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ায় আজ বেলা বাড়লে ফের বাড়তে চলেছে তাপমাত্রা। কাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৮ ডিগ্রি নেমে ২৭ এর ঘরে পৌঁছে গেছিল। আজ ফের তা বেড়ে ৩২ এর ঘরে পৌঁছাবে। কাল রাতের তাপমাত্রা ২৩.৭ থেকে বেড়ে ২৬.২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের ন্যূনতম পরিমাণ ৯২ শতাংশ। সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় আলিপুরে ১৫.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।