বৃহস্পতিবার রাতে সঙ্গী ছিল ঝোড়ো হাওয়ার দাপটও। চৈত্রেই অকাল কালবৈশাখী দেখল দক্ষিণবঙ্গ। ১৭ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে সব জায়গাতেই বিক্ষিপ্তভাবে কালবৈশাখী হবে। কারণ একটি অক্ষরেখা পশ্চিম পূর্ব রাজস্থান থেকে ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত।এর ফলে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প বঙ্গোপসাগরের উপর থেকে আমাদের রাজ্যে আসছে। যার প্রভাবেই এই ঝড় বৃষ্টি। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ এবং শিলা বৃষ্টি ২০ তারিখ পর্যন্ত বজায় থাকবে বলে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস।
উত্তরবঙ্গের মালদা এবং দুই দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলোতে শুধুমাত্র বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া থাকবে। ১৮ তারিখ ও উত্তরবঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি হবে। ১৯ তারিখে মালদা এবং দুই দিনাজপুর উপরের জলপাইগুড়ি বিক্ষিপ্তভাবে
ভারী বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোয় শুক্রবার বীরভূম মুর্শিদাবাদ ও নদীয়াতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
সেই সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। ১৮ তারিখ ১৯ তারিখ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া-সহ ঝড়-বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে।এছাড়া ১৯ তারিখে দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ নদীয়াতে বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হবে। ২০ তারিখে ঝড়-বৃষ্টি বজায় থাকবে। তবে ২১ তারিখে ধীরে ধীরে এই দুর্যোগ কমে যাবে। এই ঝড় বৃষ্টিতে প্রত্যেকটা জায়গাতেই বজ্রপাতের সম্ভাবনা। হাওয়া অফিসের তরফে ইতিমধ্যেই বজ্রপাত নিয়ে সতর্কতা বার্তা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগেই বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছিল না। এর আগে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হলেও কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় সম্প্রতি আর্দ্রতার বাড়বাড়ন্ত ছিল, ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও হয়নি। বরং বেড়েই চলেছিল গুমোট গরম। বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিতে অবশ্য সেই অস্বস্তি কিছুটা কাটল। দার্জিলিং-কালিম্পং ছাড়াও পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে।