আবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত। তবে পরবর্তীকালে সেই ঘূর্ণাবর্ত রূপান্তরিত হবে নিম্নচাপে। আগামী ৪ তারিখ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি হবে। বুধবার ও ৪ তারিখ এই ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা বাড়বে। ৫ তারিখের পর থেকে আবার দিনের তাপমাত্রা বাড়বে। তবে কলকাতাতে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠবে না। ৬ মে দক্ষিণ -মধ্য বঙ্গোপসাগর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। ৮ তারিখ এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।
২ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃ্ষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৫ তারিখ থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে। তবে কলকাতায় হিটওয়েভের মতো গরম আপাতত পড়ছে না। বৈশাখের দাবদাহের থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে বাংলায়। ঝোড়ো হাওয়া, বৃষ্টিতে গরমের প্রকোপ কমেছে অনেকটাই। আর্দ্রতার বাড়বাড়ন্ত না থাকায় বর্তমানে কিছুটা আরামেই দিন কাটছে রাজ্যবাসীর। কতদিন পর্যন্ত এমন আরামদায়ক আবহাওয়া থাকবে তা জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
যে খামখেয়ালি আবহাওয়া চৈত্রে অকাল তাপপ্রবাহ ঘটিয়েছে তা ভরা মাঝ বৈশাখে অত্যন্ত আরামদায়ক ও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করেছে। দিনের তাপমাত্রা নেমে গেল স্বাভাবিকের ৫ ডিগ্রি নিচে। রাতের তাপমাত্রা নেমে গেল স্বাভাবিকের ৩ ডিগ্রি নিচে। শুক্রবার পর্যন্ত গোটা রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৪ মে পর্যন্ত জেলায় জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ ও দমকা ঝোড়ো হাওয়া সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং-সহ পার্বত্য জেলায় আজ ও কাল বৃষ্টির পরিমাণও বাড়বে। সমতলের জেলায় আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। তবে আগামি কাল কিছুটা কম।
অন্যদিকে, আজ বিকেলের পর থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল ও গাঙ্গেয় জেলা -সহ দুই উপকুলবর্তী জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। ৫ মে থেকে কমতে থাকবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে ১১ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের কোথাও তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে। শহর কলকাতায় সকালে রোদ ঝলমলে আকাশ। তবে বেলা বাড়লে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। সেই সঙ্গে বাড়বে গুমোট ভাব। বিকেলের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্র বিদ্যুৎ- সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে সোমবারের তুলনায় আজ কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে।