ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় মানুষের পাশে, মানুষের সাথে সব রকম ভাবে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি রয়েছে ও আগামী দিনেও থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পদ্ম শিবির।
বঙ্গ বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেকেই ওড়িশার মর্মান্তিক ও ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা নিয়ে অবগত। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় বহু মানুষ তাঁদের আত্মীয় পরিজন হারিয়েছেন, ভারাক্রান্ত হয়েছে গোটা দেশবাসীর হৃদয়। এই কঠিন পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় রাজ্য বিজেপিও। করমন্ডল ট্রেনটিতে যাঁরা সফর করছিলেন তাঁরা অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। কেউ কর্মসূত্রে, কেউ বা চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারতে যাচ্ছিলেন। তাঁরা কেউ আমাদের ভাই, বোন, বন্ধু, পরিজন। তাই এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নিজেদের সবটুকু সামর্থ্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিও।
২ রা জুন, ঘটনার পরপরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তত্বাবধানে রাজ্য বিজেপির একটি টিম রাত ১১ টার সময় ১০ টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শ্রী জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, শ্রী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ভোর ৪ টেয় ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ও আহতদের বাহানগর বাজার রেলওয়ে স্টেশনে সাহায্য করেন এবং আহতরা যে সকল হাসপাতালে ভর্তি আছেন সেই হাসপাতালগুলিতেও যান সকাল পর্যন্ত। বিভিন্ন জায়গায় কন্ট্রোল রুম এবং হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়। রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার প্রতিটি আহত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন এবং যা যা সাহায্য করা সম্ভব সেগুলি করেন। রাজ্য যুবমোর্চা সভাপতি ডাঃ ইন্দ্রনীল খান হাওড়া স্টেশনে আগত ও আহত যাত্রীদের সকল প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেন। বিজেপি বিধায়করা দুর্ঘটনায় আহত বা মৃতদের পরিবারে যাচ্ছেন ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার দুর্ঘটনাস্থলে যান এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হাসপাতাল ও দুর্ঘটনা স্থল পর্যবেক্ষণ করেন। সর্বভারতীয় সহ সভাপতি শ্রী দিলীপ ঘোষ খড়্গপুর রেলওয়ে হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন এবং সাংসদ তহবিলের অ্যাম্বুলেন্স পাঠান দুর্ঘটনাস্থলে।
পাশাপাশি ওড়িশায় আটকে পড়া যাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে সব রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির তরফে।