২ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা। সাধারণ বাজেটে রেলের বরাদ্দ ঘোষণা করে মোট অর্থের এই অঙ্কটাই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর শুক্রবার বাংলার জন্য আলাদা করে রেল খাতে কত বরাদ্দ তা ঘোষণা করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিন বৈষ্ণব। জানালেন, আগামী অর্থবর্ষে রেলের জন্য বাংলা পাবে ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা।
বুধবার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ভারতের ইতিহাসে রেলের পাওয়া সর্বোচ্চ ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে এ বার। শুক্রবার রেলমন্ত্রী দাবি করেছেন, বাংলার জন্য এত বরাদ্দ আগে কখনও হয়নি। এই বরাদ্দকে ‘রেকর্ড’ বলে দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেলমন্ত্রী থাকার সময় কালের সঙ্গে তুলনা করেছে অশ্বিন। মমতার নাম না করলেও, বাংলার এ বারের প্রাপ্তি অনেক ‘বড়’ প্রমাণ করতে তাঁর রেলমন্ত্রী থাকার সময়টার উল্লেখ করেন তিনি।
১৯৯৯ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলে রেল মন্ত্রক সামলেছেন মমতা। পরে মনমোহন সিংহ সরকারের সময়েও ২০০৯ সালে রেলমন্ত্রী হন তিনি। এর পরে ২০১১ সালে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেও রেল মন্ত্রক তৃণমূলের হাতেই ছিল। মমতার পরে তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী (এখন বিজেপি নেতা) এবং মুকুল রায় (এখন বিজেপি বিধায়ক) রেলমন্ত্রী হয়েছেন। সেই সময়ের উল্লেখ করে অশ্বিন শুক্রবার বলেন, ‘‘২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যা বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের জন্য এ বার তার থেকে তিন গুণ বেশি করা হয়েছে।’’ এটা রেকর্ড বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এত টাকা বরাদ্দ পশ্চিমবঙ্গ কোনও দিন রেল খাতে পায়নি দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘এই বছর রেকর্ড বরাদ্দ হয়েছে বাংলার জন্য। এটা কোনও দিন ভাবা হয়নি, কল্পনা করা হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সময়কালে বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। সেখানে এ বার যা বরাদ্দ, তা তিন গুণ বেশি।’’
তবে বাংলার মোট বরাদ্দের কোন অংশ কোন প্রকল্পে খরচ হবে তার বিবরণ রেলমন্ত্রী দেননি। রেলের তরফেও এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তবে কলকাতা মেট্রো রেল ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে কোন খাতে কত টাকা খরচ হবে। কলকাতা মেট্রোর জন্য মোট বরাদ্দ ৩ হাজার ৪৯৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোর জন্য। বরাদ্দ ১,৩৫০ কোটি টাকা। এর পরেই নিউ গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট লাইনের জন্য বরাদ্দ ১,২০০ কোটি টাকা। নোয়াপাড়া-বারাসত মেট্রো পাচ্ছে ৬২০ কোটি টাকা। রেলের দাবি, আগের বারের তুলনায় এ বার কলকাতা মেট্রো ১৬৪.৭৭ শতাংশ বেশি বরাদ্দ পেয়েছে। গত বছরের মোট বরাদ্দ ছিল ১,৩৮০ কোটি টাকা।