আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে। গর্ভগৃহে ‘রামলালা বিরাজমান’-এর মূর্তি প্রতিষ্ঠার সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশেই থাকার কথা তাঁর। কিন্তু তার আগে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) উত্তরপ্রদেশের মন্দির নগরীতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে অযোধ্যার নবনির্মিত বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনের (যা আদতে জংশন) উদ্বোধন করার পাশাপাশি শনিবার একটি জনসভাও করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সেই সফরের প্রস্তুতি তদারক করতে বৃহস্পতিবার অযোধ্যা গেলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ১১টায় অযোধ্যা পৌঁছনোর পরে প্রথমে রামকথা পার্কে যাবেন যোগী। এর যাবেন রামলালার দর্শনে। সেখান থেকে নির্মীয়মাণ মন্দিরের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন। কথা বলবেন ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সদস্যদের সঙ্গে। বেলা ১টা নাগাদ স্থানীয় সার্কিট হাউসে মধ্যাহ্নভোজের পরে স্থানীয় কমিশনার অডিটোরিয়ামে জেলার পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শনিবারের সফরের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করবেন যোগী।
প্রধানমন্ত্রী মোদী শনিবার অযোধ্যায় নবনির্মিত বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনের উদ্বোধন করার পাশাপাশি জনসভাও করবেন। সেখানে হাজির থাকবেন যোগী। প্রশাসন সূত্রের খবর, ‘শ্রীরাম বিমানবন্দর’ উদ্বোধনের পরে ১৫ কিলোমিটার রাস্তা ধরে ‘রোড শো’ করবেন মোদী। পৌঁছবেন অযোধ্যা রেলস্টেশনে। বুধবারই তার নাম বদলে করা হয়েছে ‘অযোধ্যা ধাম’। নবনির্মিত স্টেশন উদ্বোধনের পরে অদূরের একটি মাঠে জনসভা করবেন মোদী।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগেই অযোধ্যা লাগোয়া ফৈজাবাদ রেল স্টেশনের নাম বদলে ‘অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট’ স্টেশন করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল। অযোধ্যার মূল বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমি ঘিরে কেন্দ্রের অধিগৃহীত ৬৭ একর জমিও পেয়েছিল হিন্দু পক্ষ। সেই রায়ের চতুর্থ বর্ষপূর্তিতে যোগী এ বার অযোধ্যায় তাঁর মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছিলেন। দীপাবলিতে সরকারি খরচে অযোধ্যায় ২১ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়েছিল যোগী সরকার।