মাত্র কয়েক ঘন্টার স্টিং অপারেশন, আর সেই ভিডিয়ো ফুটেজকে কেন্দ্র করে তোলপাড় ভারতীয় ক্রিকেট। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বনাম বিরাট কোহলির (Sourav Ganguly vs Virat Kohli) ইগোর লড়াই। গোপন ক্যামেরার সামনে ‘কিং কোহলি’-কে (King KOhli) মিথ্যাবাদী বলে দেওয়া! এমনকি টিম ইন্ডিয়ার (Team India) একাধিক তারকা ক্রিকেটার দলের টিকে থাকার জন্য ক্রিকেটার অ্যান্টি ডোপিং ইঞ্জেকশন এবং ওষুধ খেয়ে নিজেদের ফিট বলে দাবি করে থাকেন! জসপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) চোটের ইস্যু নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য! জি নিউজের (Zee News) #গেমওভার (#GameOver) অনুষ্ঠানের লুকনো ক্যামেরায় একাধিক ভয়ংকর দাবি করার জন্য বেশ বিপাকে মুখ্য নির্বাচক প্রধান (Chief Selector)। তাঁর চাকরি যাওয়ার মুখে। এমন প্রেক্ষাপটে চেতনের কোনও কথাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না তাঁর প্রাক্তন সতীর্থ কীর্তি আজাদ। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী তারকার দাবি, চেতন শর্মা মূর্খের স্বর্গে বসবাস করছেন।
কীর্তি আজাদ বলেন, “আমি শুনছি চেতন বলেছে ফিটনেস ভালো রাখা ও ফিট থাকার জন্য নাকি একাধিক ক্রিকেটার ইঞ্জেকশন নিয়ে থাকে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গত টেস্টে রবীন্দ্র জাদেজা আঙুলে মলম লাগিয়েছিল। কারণ অনেক ওভার লাগাতার বল করলে, দুই আঙুলের মাঝে ঘা হয়ে যায়। এমনকি চামড়াও উঠে যায়। সেই সময় আঙুলকে ঠিক রাখার জন্য এক ধরনের মলম লাগানো হয়ে থাকে। এমনকি দুই আঙুলের মাঝে কোটোজন ইঞ্জেকশন লাগানো হয়। এই মলম কিংবা ইঞ্জেকশন মোটেও অ্যান্টি ডোপ ইঞ্জকেশন নয়।” এখানেই না থেমে কীর্তি আরও যোগ করেন, “ফিটনেস বাড়ানোর জন্য কিংবা ফিট হওয়ার জন্য কোনও ক্রিকেটার ইঞ্জেকশন লাগিয়েছে বলে তো শুনতে পাইনি! বুমরা তো অনেক মাস থেকে দলের বাইরে। যদি একটা ইঞ্জেকশন লাগিয়েই দলে ফেরা যেত, তাহলে তো বুমরা এতদিনে সেই কাজ করে ভারতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমে যেতে পারত। তাই আমার মতে চেতন বাচ্চাদের মতো মন্তব্য করেছে।”