১০ গোলে জিতে রেকর্ড বায়ার্নের, ক্লাব বিশ্বকাপে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৪ গোলে হারাল পিএসজি

দ্বিতীয় দিনেই জমে গেল ক্লাব বিশ্বকাপ। রেকর্ড গড়ল বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মানির চ্যাম্পিয়ন ক্লাব হারাল নিউ জ়িল্যান্ডের অকল্যান্ড সিটিকে। ব্যবধান ১০-০। ফিফা পরিচালিত কোনও প্রতিযোগিতায় এর আগে এত বড় ব্যবধানে কোনও দল জেতেনি। পাশাপাশি ভাল শুরু করল চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী দল প্যারিস সঁ জরমঁ। স্পেনের ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে তারা।

ক্লাব বিশ্বকাপে অকল্যান্ড সিটিই একমাত্র দল, যারা পেশাদার ফুটবল খেলে না। এমন একটা দলের বিরুদ্ধে বায়ার্ন যে দাপট দেখাবে সেটাই স্বাভাবিক। এ বার ক্লাব বিশ্বকাপে রয়েছে ৩২টা দল। প্রতিযোগিতার আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। কিন্তু যে ভাবে ধারেভারে দুই বিপরীত মেরুর দলের লড়াই হল তাতে ফিফার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

অকল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই ৬-০ গোলে এগিয়ে যায় ৩৪ বারের বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন। শুরু করেন কিংসলে কোম্যান। ৬ মিনিটে গোল করেন তিনি। ১৮ মিনিটে সাচা বোয়ি ও ২০ মিনিটে মাইকেল ওলিস গোল করেন। এক মিনিট পর নিজের দ্বিতীয় ও দলের চার নম্বর গোল করেন কোম্যান। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, বায়ার্নের সামনে দাঁড়াতে পারছে না অকল্যান্ড। ৪৫ মিনিটে গোল করেন টমাস মুলার। সংযুক্তি সময়ে ওলিস আরও একটা গোল করেন।

প্রথমার্ধেই ইঙ্গিত মিলেছিল ক্লাব বিশ্বকাপে রেকর্ড হতে চলেছে। কারণ, এর আগে এই ২০০২ সালে আল জাজ়িরার কাছে আল হিলালের ১-৬ গোলে হার ছিল সর্বাধিক ব্যবধান। সেটা প্রথমার্ধেই ছাপিয়ে যায় বায়ার্ন। পরিবর্ত হিসাবে নেমে দ্বিতীয়ার্ধে হ্যাটট্রিক করেন জামাল মুসিয়ালা। ৬৭, ৭৩ ও ৮৪ মিনিটে গোল করেন তিনি। ৮৯ মিনিটে দলের ১০ নম্বর গোল করেন মুলার। তবে তার মধ্যেই বায়ার্নের চিন্তা থাকল হ্যারি কেনকে নিয়ে। ১০ গোলের ম্যাচেও বল জালে জড়াতে পারলেন না তিনি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পরেও ছন্দেই রয়েছে পিএসজি। রবিবার আতলেতিকোর বিরুদ্ধে দাপট দেখাল তারা। ১৯ মিনিটের মাথায় লুই এনরিকের দলকে এগিয়ে দেন ফাবিয়ান রুইজ়। দূরপাল্লার শটে গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে ভিটিনহার গোলে ব্যবধান বাড়ায় প্যারিসের ক্লাব।

৫৭ মিনিটের মাথায় আতলেতিকোর হয়ে এক গোল শোধ করেন ইউলিয়ান আলভারেস। কিন্তু ভার প্রযুক্তি ব্যবহারে তা বাতিল হয়ে যায়। তার পর অনেক চেষ্টা করেও পিএসজি-র জালে বল জড়াতে পারেনি আতলেতিকো। উল্টে ৮৭ মিনিটে পিএসজি-র হয়ে তৃতীয় গোল করেন সেনি মায়ুলু। সংযুক্তি সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন লি কাং। ৭৪ শতাংশ বলের দখল নিয়ে দাপট দেখিয়ে ম্যাচ জেতে প্যারিসের ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পর ক্লাব বিশ্বকাপের শুরুটাও ভাল করল তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.