বাঙালির চিরকালীন ভালবাসা ফুটবলকে স্কুলপড়ুয়াদের কাছে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা আয়োজিত ‘স্কুল ফুটবল লিগ’। ৬ অগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতার প্রথম পর্বের খেলা পশ্চিমবঙ্গের ১৬টি জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখান থেকে জ়োনাল ফাইনালের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল ১৬টি জেলার মোট ১৬টি স্কুল। নিউটাউনের এনকেডিএ স্টেডিয়ামে গত ৩০ অগস্ট জ়োনাল ফাইনাল এবং সেখান থেকে উত্তীর্ণ দলগুলিকে নিয়ে ৩১ অগস্ট স্কুল ফুটবল লিগের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
আনন্দবাজার পত্রিকা আয়োজিত ‘স্কুল ফুটবল লিগ’ প্রথম বছরেও দারুণ সাফল্য পেয়েছিল। এ বছরও সেই একই ধারা বজায় থেকেছে। ‘এসএফএল’-এর জ়োনাল রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে সমান ভাবে ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। পড়ুয়ারা প্রত্যেকটি ম্যাচেই তাঁদের দক্ষতায় উপস্থিত বিচারকদের মুগ্ধ করেছে।
এই প্রতিযোগিতাকে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে সামিল হয়েছিল ‘ওয়াকারু’, ‘আকাশ ইনস্টিটিউট’, ‘বিস্ক ফার্ম’, ‘রলিক’ এবং ‘ট্রেন্ডস্’-এর মতো ব্র্যান্ডগুলি। পাশাপাশি পার্টনার ক্লাবের ভূমিকায় ছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সঙ্গে রেডিও পার্টনার ৯১.৯ ফ্রেন্ডস এফ.এম।
জ়োনাল ফাইনালের আগে লিগের জেলাস্তরের ম্যাচগুলি চলে ৪৫ দিনের বেশি সময় ধরে। প্রতিটি ম্যাচই ছিল প্রায় ২০ মিনিটের। এরপর জ়োনাল ফাইনালে তুমুল লড়াই পেরিয়ে ৮টি বিজয়ী স্কুল কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। কোয়ার্টার ফাইনালের দুর্ধর্ষ ম্যাচের শেষে শীর্ষ ৪টি দল– নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের স্কুলগুলি সেমিফাইনালের জন্যে নির্বাচিত হয়েছিল।
সেমিফাইনালে ফের জমজমাট যুদ্ধ। এ বছর ‘স্কুল ফুটবল লিগ’-এর ফাইনাল খেলার জন্যে নির্বাচিত হয়, নদিয়ার জাহাঙ্গীরপুর সূর্য সেন হাই স্কুল এবং পূর্ব বর্ধমান, কালনার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র বিদ্যামন্দির।
এরপর শুরু হয় সেরার সেরা খেতাব জেতার লড়াই। ৪০ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দলই। প্রতিযোগীদের উৎসাহ ও উদ্দীপনাকে আরও কিছুটা বাড়িয়ে তুলতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ফুটবলের তিন কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব—ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, প্রশান্ত বন্দোপাধ্যায় এবং বিকাশ পাঁজি।
শেষ হাসি হাসে পূর্ব বর্ধমান, কালনার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র বিদ্যালয়। ‘এসএফএল’-এর প্রথম সংস্করণে সেরা স্কুল দল হিসেবে শিরোপা অর্জন করে এই দলটি। ম্যাচের শেষে খেলোয়াড়দের খেলার মান বিচার করে ৫ জন প্রতিভার মধ্যে থেকে সেরা ২ জনকে বেছে নেন বিচারকেরা। তারা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবে।