শনিবার বসিরহাট লোকসভা এলাকার একাধিক স্থানে উত্তেজনা তৈরি হয়। আক্রান্ত-আহত হয়েছেন তৃণমূল-বিজেপি উভয় দলের কর্মী-সমর্থক।
সন্দেশখালির খুলনা অঞ্চলে ১৭৭ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য মণিকা মণ্ডলের স্বামী তথা এলাকার তৃণমূলের কর্মী রামকৃষ্ণ মণ্ডলকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হর। এ ব্যাপারে অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মনিকা মণ্ডলের স্বামী রামকৃষ্ণ মণ্ডল দলবল নিয়ে বুথ দখল করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঁর উপরে চড়াও হন। উভয় পক্ষের হাতাহাতিতে রামকৃষ্ণ আহত হন। এর সাথে বিজেপির কোনও যোগাযোগ নেই।’’
এদিকে, বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের ভবানীপুরে ৬৬ নম্বর বুথে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ওই তৃণমূল কর্মীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘‘ভবানীপুরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ভোট দিতে যেতে পারছে না । বিজেপি এজেন্টকে ধরে মারধর করছে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। সেখানে তৃণমূলের কর্মীকে বিজেপি কর্মীরা মারবে এটা অস্বাভাবিক। এটা হতে পারে না।’’
সন্দেশখালির তিন নম্বর বুথের বয়ারমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথ নম্বর পঁচিশে বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সেই ভিডিও দেওয়া হয়েছে দলের মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।
বসিরহাটের ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের ভোটকেন্দ্র জ্যাম করে তৃণমূল ছাপ্পাভোট দেয় বলে অভিযোগ। সেখানে বিজেপি-র পোলিং এজেন্টকে বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বেলা সাড়ে ১০টায় নির্বাচন কমিশনের কাছে এই অভিযোগ করা হয়।
বেলা ১০টা ৭ মিনিটে বসিরহাট চার নম্বর মণ্ডলে পশ্চিম বোরা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাপ্পা ভোট মারা হচ্ছে বলে বিজেপি-র তরফে কমিশনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
বসিরহাট কেন্দ্রের ঝিনকিয়া প্রাইমারি স্কুলের ভোটকেন্দ্রে তৃণমূল ‘গুণ্ডারা’ বিজেপি কার্যকর্তাদের মারধর করে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পাভোট দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।