সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে দিন দিন বেড়েই চলেছে সাইবার ক্রাইমের পরিমাণ। অভিনব কায়দায় চলছে সাইবার ক্রাইম। সেই ধরনের দুটি সাইবার ক্রাইমের কিনারা করলো ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত সাইবার ক্রাইম বিভাগ। সেই অভিনব সাইবার ক্রাইমকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে এবং মানুষকে সচেতন করতে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।
গত ২১ জুলাই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোদপুর গোদরেজ প্রকৃতি আবাসনে হানা দিয়ে এক কল সেন্টারের হাদিশ পায় পুলিশ। অভিযোগ ছিল, ওই কল সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষকে লটারি বা উপহার দেওয়ার নামে ফাঁদে ফেলে আর্থিক প্রতারণা করা হচ্ছিল। সেই সূত্র ধরে পুলিশ ওই কল সেন্টারে হানা দিয়ে কল সেন্টারের মালিক অখিলেশ কুমার ও তার ভাই বিপিন কুমার ও মবিন আনসারী নামে তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। সেই সঙ্গে ওই কল সেন্টার থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, বেশ কিছু এটিএম কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত এগিয়ে যেতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই মামলায় দুই মহিলা সহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রায় ১০০ জনের বেশি মানুষকে এরা কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতারণা করেছে।তবে এই কল সেন্টার ছাড়াও সাইবার ক্রাইম বিভাগ গেমিং অ্যাপের আড়ালে চলা অপর এক প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে। অবৈধ ভাবে মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে গেমিং অ্যাপের আড়ালে এক কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ আসে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ধীমান ভট্টাচার্য’কে বিধানগর থেকে গ্রেপ্তার করে।
এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ফাঁস করে ফেললো অভিনব উপায় মানুষকে লোভে ফেলে আর্থিক প্রতারণা করার ফাঁদ। সেই নিয়ে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিক গণেশ বিশ্বাস দুটি মামলা নিয়ে বিস্তারিত জানান, এবং স্বল্প সময়ে বেশি টাকা রোজগারের জন্য বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে মানুষ কীভাবে প্রতারিত হচ্ছে তা তুলে ধরেন।