Bardhaman: মূক ও বধি মহিলাও পেলেন না রেহাই! অন্ধকারে নিয়ে গিয়ে…

 মূক ও বধির মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিস। ধৃতের নাম চাঁদু ধাড়া। বাড়ি ভাতার থানা এলকায়। রবিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিস।

তদন্তের স্বার্থে ৫ দিনের পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে সোমবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হলে সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতার থানা এলাকায় ওই মহিলার বাড়ি। রবিবার ভোররাতে তিনি বাড়ির বাইরে শৌচকর্ম করতে যান। দীর্ঘক্ষণ তিনি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে বের হন। ভোর চারটে নাগাদ তাঁকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি নির্জন জায়গায় বসে থাকতে দেখেন পরিবারের লোকজন এবং চাঁদুকে সেখান থেকে দৌড়ে পালাতে দেখেন। বাড়ি ফেরার পর মহিলা আকারে-ইঙ্গিতে তাঁর উপর হওয়া পাশবিক অত্যাচারের কথা জানান। এরপরই পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার সময়ে মহিলার পরিহিত পোশাক পুলিস বাজেয়াপ্ত করেছে।

প্রসঙ্গত, আরও এক নৃশংস ঘটনা সামনে এসেছে। দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হল গৃহশিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমরি থানার পুলিস। পাশাপাশি অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে মারধর করার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। ধৃতদের সোমবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে মেমারি থানার পুলিস।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার ছাত্রীটি টিউসন পড়তে গেলে, পড়া শেষে শিক্ষক সবাইকে ছেড়ে দিলেও ওই ছাত্রীকে অতিরিক্ত ক্লাস নেবার নাম করে আটকে রাখে এবং শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ছাত্রী বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে, পাড়ার লোক অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে শিক্ষককে মারধর করে বলে অভিযোগ।

রবিবার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। অন্যদিকে শিক্ষকের পক্ষ থেকেও তাকে মারধরের ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্ত নেমে অভিযুক্ত শিক্ষককে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করে মেমারি থানার পুলিস ও শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.