কণ্ঠস্বর হারিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ি! দিন কয়েক আগেই সংবাদমাধ্যমে চাউর হয়েছিল এই খবর। যদিও খবর যে ভুয়ো তা আগেই জানিয়েছিলেন সংগীত শিল্পী। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সেই খবর জানিয়েছিলেন। এই বিষয় হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে সরাসরি মুখ খুললেন তিনি।
সদ্য নিজের স্টুডিওয়ে গান রেকর্ডিংয়ের সময় হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাপ্পি লাহিড়ি জানিয়েছেন, ‘আমার নাকি স্বরযন্ত্র খারাপ হয়ে গিয়েছে, এই রিপোর্ট দেখে আমি হতবাক হয়ে যাই। এটা হাস্যকর এবং আমি সত্যিই দুঃখিত। আমি তিন দিন আগে আমার নাতির সঙ্গে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্মের শ্যুটিং করছিলাম। সুস্থ না হলে সেটা কীভাবে করতে পারতাম? আমি ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। কখনও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। সামান্য় সর্দি-কাসি হয়েছে, তারজন্য কাশির সিরাপ এবং টেবলেট খাচ্ছি। খুব সামান্য একটা ব্যাপার। আগের থেকে অনেক ভালো আছি’।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
জল্পনা শোনা গিয়েছিল, শারীরিক অসুস্থার জন্য় কাজের থেকে দূরে রয়েছেন সংগীত শিল্পী। কিন্তু গায়ক নিয়ে জানিয়েছেন কাজের মধ্যেই ডুবে রয়েছেন তিনি। বছর ৬৮-র সংগীত শিল্পীর কথায়, ‘সদ্য তিনটে গান আমি রেকর্ড এবং কম্পোজ করেছি। একটা গণপতি বাপ্পা মোরিয়া। ওটা সদ্য রিলিজ করেছে। দুর্গাপুজোর জন্য ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে একটা গান রেকর্ড করলাম। দুদিন আগে একটা বাংলা ছবির সাউন্ড ট্র্যাকের কাজ শেষ করলাম। শান, আদিত্য নারায়ণ, আরমান মালিক, আলিশা চিনয়’রা গাইছে সেই ছবিতে। অনুরাগীরাই আমার ঈশ্বর। তাঁদের এবং গণপতি বাপ্পার আশীর্বাদে আমি ভালো আছি’।
কীভাবে রটেছিল এই গুজব? আসলে কয়েক মাস আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান সংগীত শিল্পী। ভর্তি ছিলেন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। এরপর কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসলেও শরীর আর সম্পূর্ণ ঠিক হয়নি। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁকে দেখতেও গিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকজন ব্যক্তিত্ব। তাঁদের সঙ্গেও নাকি কোনও কথা বলেননি বাপ্পি। ওই অতিথিদের মধ্যে কেউ কেউ জানিয়েছিলেন শরীর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এই বর্ষীয়ান সুরকারের।
অন্যদিকে, মিড-ডে’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাপ্পি-পুত্র বাপ্পা জানিয়েছিলেন, ‘কোভিডের পাশাপাশি বাবার ফুসফুসেরও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বাবাকে কথা বলতে বারণ করা হয়েছে। সেই কারণেই এমন গুজব রটেছে যে বাবা কণ্ঠস্বর হারিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু মনের জোর ধরে রেখেছেন তিনি’।