২০২৪- এর লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার আগেই বিজেপি তাদের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই মোদী আবার এলেন বঙ্গ সফরে। এবার সভা ছিল উত্তরবঙ্গে। রেলসহ একাধিক ক্ষেত্রের এক ঝাঁক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি। আজ সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদী। এই সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনের পর তিনি দলীয় সভায় যান। সেখান থেকে বাম ও তৃণমূল সহ বিরোধীদের তোপ দাগেন তিনি। আজকেও তাঁর মুখে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ থেকে পরিবারতন্ত্র ইস্যু উঠে এসেছে।
মোদী বলেন, লোকসভা থেকে বদলের রাস্তা শুরু হয়। তিনি সকলকে আবকি বার চারশো পারের আহ্বান জানান। এবারের লোকসভা ভোটে ৪০০ আসন বিজেপির তরফে পার করার আহ্বান জানিয়েছেন মোদী।
একই সঙ্গে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ শানিয়ে মোদী বলেন, আমাকে কারোর জন্য বাড়ি রাখতে হবে না। ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সও রাখতে হবে না। আপনাদের ভালো থাকতে দেখলে আমার আনন্দ। যাদের আগে কেউ দেখেনি তাদের দেখে মোদী। তিনি দরিদ্র মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বিরোধীদের পরিবার তন্ত্রের অভিযোগ করেন। তাঁর কথায়, আপনাদের বাচ্চাদের কথা যদি কেউ ভাবেন তাহলে সেটা মোদী এবং বিজেপি।
তিনি বলেন, আগে যা কেউ ভাবতে পারেনি সেটা করে দেখাচ্ছে মোদী সরকার। অযোধ্যায় রাম মন্দির, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির প্রসঙ্গ তুলে আনেন মোদী।
উত্তরবঙ্গের টি, টুরিজম, টিম্বার এই তিন দিক নিয়ে উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে মোদী সরকার, বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ নিয়ে তার সরকারের একটি রোড ম্যাপ রয়েছে।
সন্দেশখালি নিয়ে আবারো মন্তব্য করেন মোদী। তিনি বলেন, বোনেদের সঙ্গে তৃণমূল নেতারা কী করেছেন তা আজ সারা দেশে আলোচনার বিষয়। মহিলাদের উপর অত্যাচার, গরিবদের রোজগার লুট তৃণমূলের তোলাবাজদের কাজ। তিনি বলেন, একশো দিনের কাজের পয়সা দিল্লি থেকে পাঠাই, আর এখনকার তৃণমূল সরকার নিজেদের তোলাবাজদের সুবিধা দিতে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড বানিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির অভিযোগ এনে তিনি বলেন, তার সরকার রেশন নিয়ে সাধারণ মানুষের সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তৃণমূলের মন্ত্রীরা সেই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। অন্যদিকে তার সরকার নারী দিবসে রান্নার গ্যাসের দাম ১০০ টাকা কম করেছে বলেও মনে করিয়ে দেন।
অন্যান্য দিনের মতো আজকেও মোদী বাংলাতেই তাঁর বক্তব্য শুরু করেন। আমার দিদি দাদা মা ভাই বোনেদের নমস্কার। তিনি বলেন, “চা বাগানে কর্মরত সকলকে এই চা ওয়ালার প্রণাম”। দেরি করে সভায় আসার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। উত্তর পূর্বের একাধিক রাজ্যের সফরের পর তিনি শিলিগুড়ি আসেন।