আগামী জুন মাসে ভারত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি শুরু করবে বাংলাদেশ (Bangladesh)। গত সোমবার রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ এ কথা জানিয়েছেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে প্রশ্নোত্তর টেবিলে এটি উপস্থাপিত হয়। তখনই সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ এই তথ্য জানান।
ঠিক কী জানিয়েছেন হামিদ? তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল (Diesel) আমদানির জন্য ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫ কিলোমিটার-সহ প্রায় ১৩১.৫ কিমি ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপি) নির্মাণ করা হয়েছে।”এই পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির প্রি-কমিশনিং কার্যক্রম শুরু হয়ে গিয়েছে।
আগামী জুন মাসে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির কমিশনিং শুরু হবে। অর্থাৎ পরীক্ষামূলকভাবে ডিজেল আমদানি শুরু হবে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ”দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিল্প, বিদ্যুৎ ও সার কারখানাকে গ্যাস সংযোগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া অর্থনৈতিক গতিশীলতার স্বার্থে একান্ত অপরিহার্য। একই ভাবে গৃহস্থালি তথা আবাসিক শ্রেণিতে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া অর্থনৈতিকভাবে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।”
তিনি আরও বলেন, ”এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজির সহজলভ্যতা এবং ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় গৃহস্থালি পর্যায়ে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া পরিপত্রের মাধ্যমে বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলে এবং শিল্প, বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা হ্রাস না পেলে আবাসিক গ্যাস সংযোগ উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে না।”
নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী নজরুল বলেন, ”২০২২ সালের জুন মাসে বাংলাদেশে মজুত গ্যাসের পরিমাণ ৯.০৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এই গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।” তিনি আরও বলেন, ”বর্তমানে গ্যাসক্ষেত্রগুলি থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় ২ হাজার ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। বিবেচনায় অবশিষ্ট গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।”