Bangladesh: ২৯৭ যাত্রীর প্রাণ বাঁচিয়ে ‘জাতীয় বীর’ বাঙালি নায়কের পাইলট স্ত্রী…

বাংলাদেশের ২৯৭ জন নাগরিকের প্রাণ বাঁচালেন পাইলট  ক্যাপ্টেন তানিয়া রেজা। তাঁর আরেক পরিচয়, তিনি হলেন অভিনেতা ও আওয়ামী লীগের নেতা ফিরদৌস আহমেদের(Ferdous Ahmed) স্ত্রী। সম্প্রতি তাঁরই বুদ্ধিমত্তায় রক্ষা পেলেন প্রায় ৩০০ জন বাংলাদেশি।

সম্প্রতি ঢাকা থেকে সৌদি আরবের দাম্মামগামী একটি ফ্লাইটের ককপিটের উইন্ডশিল্ডে ফাটল দেখা যায়। প্রায় ২ ঘণ্টা পরে ২৯৭ আরোহী নিয়ে বাংলাদেশের শাহজালাল বিমান বন্দরে ফিরেছে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। সেই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ছিলেন তানিয়া রেজা। পাইলটের পাশাপাশি তিনি নায়ক ও ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ফিরদৌস আহমেদের স্ত্রী।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, ‘শনিবার অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি, বিকেলে বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ নিয়মিত ফ্লাইটে সৌদি আরবের দাম্মামে যাচ্ছিল। ককপিটের কাচে ফাটল দেখা দেওয়ার পর বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে পাইলট তানিয়া রেজা তড়িঘড়ি সেটিকে ঢাকায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পাইলটের সিদ্ধান্তের কারণেই ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রু সবাই নিরাপদে ল্যান্ড করতে পারেন। রোববার সকাল ১১টায় অন্য একটি ফ্লাইটে তাঁদের সৌদির দাম্মামে পাঠানো হয়।

এর আগে বাংলাদেশে ঘটেছে এরকমই একটি ঘটনা  ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিমানের বোয়িং ৭৩৭ এর ককপিটের কাচ ফেটে গেলে সেটিকে মালয়েশিয়ায় ল্যান্ড করানো হয়। একই বছরের অগস্টে দোহার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া আরেকটি বোয়িং ড্রিমলাইনার মাঝ আকাশে একই সমস্যার মুখোমুখি হলে সেটিকে ভারতের আকাশসীমা থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি যুক্ত হয়। এর নাম দেওয়া হয় অচিন পাখি। এর আরও পরে সেটি ফ্লাইটে যায়। এতে অল্প সময়ের মধ্যে অত্যাধুনিক এই মডেলের উড়োজাহাজে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বড় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.