ছাত্র আন্দোলনে অশান্ত বাংলাদেশ। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। জারি করা হয়েছে কারফিউ। এর প্রভাব পড়েছে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে। অন্য অনেক মাছের মত বন্ধ ইলিশ মাছ সরবরাহ।
গত তিন চার দিন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ওপার বাংলায়। ছাত্র আন্দোলনের জেরে পুলিস রাফ এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গোটা দেশে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। বড় বড় শহরগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে অশান্তি। এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে। যেখানে প্রতিদিন ১০০ টন ট্যাংরা, ভেটকি, পাবদা, পাঙ্গাস, পমফ্রেট সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হত, তা গত ৩-৪ দিন পুরোপুরি বন্ধ।
ফিস ইনপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় তারা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করতে পারছেন না। নতুন অর্ডারও দিতে পারছেন না। আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য বাংলাদেশের গাড়ি এই রাজ্যে কম আসছে। ফলে তারা সমস্যায় পড়েছেন। প্রতিদিন গড়ে আড়াই কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে।
এদিন তিনি বলেন, বর্ষাকালে বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ আমদানি করা হয়। কিন্তু এবারে ইলিশ আমদানির জন্যে চিঠি লেখার কাজ শুরু হলেও ইলিশ পাওয়া যাবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। এইরকম অশান্তি চললে এবারে ওপার বাংলাদেশের ইলিশ নাও ঢুকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আপাতত পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে রয়েছেন কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এরই পাশাপাশি প্রভাব দেখা গেল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেট্রাপোলে। পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকলেও বাংলাদেশের যাত্রী প্রবেশ একেবারে বন্ধ বললেই চলে। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে পেট্রাপোল সীমান্তের ব্যবসায়ীরা। যাত্রীর অভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে একাধিক বাস পরিষেবা।
বাংলাদেশ থেকে একে একে ফিরে আসছে ভারতীয় যাত্রীরা। ভারত থেকেও বাড়ির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের ফিরছেন কেউ কেউ। এদিন সেই ছবিই দেখা গেল পেট্রাপোল সীমান্তে । বাংলাদেশ থেকে ফেরা এমনই এক যাত্রী বাপন দাস জানান বাংলাদেশে আন্দোলনের জেরে চোখের সামনে গুলি চলতে দেখছে এমনকি বহুতল বিল্ডিং এ আগুলে জ্বলতেও দেখেছেন। এমনই ওই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন।