আটক আন্দোলনকারীদের মুক্তি, ছাত্র সংগঠনের দাবি মেনে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শাহবুদ্দিনের

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় যাঁরা গ্রেফতার হয়েছিলেন, মঙ্গলবার তাঁদের মুক্তির নির্দেশ দিলেন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিন। এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ৫ অগস্ট পর্যন্ত যে আন্দোলনকারীরা আটক হয়েছেন, তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সদস্যদের দাবি ছিল, কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের মুক্তি দিতে হবে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে ছাত্ররা অনুরোধ করেন যে, ‘নিরপরাধ’ আন্দোলনকারীদের ছেড়ে দেওয়া হোক। সেই অনুরোধ মেনে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাষ্ট্রপতি। মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হল।

কোটা সংস্কারের দাবিতে জুন মাসে বাংলাদেশের পথে নামেন পড়ুয়ারা। প্রবল জনরোষের মুখে পড়ে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় দিলেও ন’দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। ধৃত আন্দোলনকারীদের মুক্তি, সমস্ত মামলা প্রত্যাহার, কোটা আন্দোলনে হামলাকারীদের শাস্তি-সহ আরও বিভিন্ন দাবি ছিল আন্দোলনকারী ছাত্রদের। কিন্তু বিগত কয়েক সপ্তাহে পুলিশ-প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগের যৌথ ‘হামলা’য় একের পর এক আন্দোলনকারী মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। নয় দফা দাবির পরিবর্তে একটি মাত্র দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। সেই দাবি হল হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। শেখ হাসিনা সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। তার পরেও যদিও অশান্তি থামেনি বাংলাদেশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.