বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। এই খবর ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এক বাংলাদেশি হিন্দু ছাত্রী চিঠি পাঠালেন এক প্রাক্তন সেনা আধিকারিককে। যাতে মোদীর কাছে বার্তা যায়। ওই কিশোরীর লেখা হৃদয় বিদারক চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সেনা আধিকারিক।
চিঠিটি পোস্ট করে ওই প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেখেন, বাংলাদেশের দ্বাদশ শ্রেণির এক হিন্দু মেয়ের হৃদয় বিদারক চিঠি এটি। এই চিঠি যাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্য সে আমায় অনুরোধ করেছে। সে লিখেছে, আমাদের কষ্ট অকল্পনীয়। সন্ত্রাসীরা মেয়েদের ও মহিলাদের ধর্ষণ করছে।পুরুষদের নির্যাতন ও হত্যা করছে।
মেজর পবন কুমার ওই চিঠিটি পোস্ট করেছেন। ওই সেনা আধিকারিকের পোস্ট করা চিঠি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
চিঠিতে ওই বাংলাদেশি ছাত্রী লিখেছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের জন্য কিছু করুন। বাংলাদেশের মাটিতে আর থাকা যাচ্ছে না। এখানে কোনো নিরাপত্তা নেই, শান্তিতে বাঁচার অধিকার হারিয়েছি। আমি জানি আপনারা সবাই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। আমি বাংলাদেশের সমস্ত হিন্দুদের হয়ে অনুরোধ করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, যত দূর সম্ভব আমাদের সাহায্য করুন। একই সঙ্গে ছাত্রী ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারতীয়দের। সে লিখেছে ভারতীয়রা তাদের জন্য যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং প্রার্থনা করছেন তার জন্য বাংলাদেশের হিন্দুরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
ওই হিন্দু বাংলাদেশি ছাত্রী আরও লিখেছে, আমরা অত্যন্ত খারাপ অবস্থার মধ্যে রয়েছি। যা শব্দে প্রকাশ করতে পারবো না। সন্ত্রাসবাদী এবং কট্টরপন্থীরা আমাদের উপর অত্যাচার করছেন। মহিলারা, কিশোরীরা ধর্ষিত হচ্ছেন, অত্যাচারিত হচ্ছেন। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে হিন্দুদের বাড়িতে, মন্দিরে। ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে দোকান- পাট। লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পত্তি নষ্ট করে দিচ্ছেন তারা। সর্বোপরি হত্যা করছেন। সামাজিক মাধ্যমে যে পরিস্থিতি আপনারা দেখতে পারছেন আসলে পরিস্থিতি তার থেকে আরও অনেক বেশি খারাপ। আমাদেরকে বলা হয়েছে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে, কিন্তু কেন? এটা আমাদের দেশ, আমাদের থাকার সমস্ত রকম অধিকার রয়েছে।”