এখনও ডামাডোলের মধ্যেই চলছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিয়েছে। কাজও শুরু করে দিয়েছে তারা। তার পরেও বহুকিছু গুছিয়ে উঠতে বাকী। অক্টোবরেই পুজো। এর মধ্যেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে বাংলাদেশের ইলিশের কী হবে? এপারে কি এবার পদ্মার ইলিশ আসবে? রবিবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাণি ও মত্স উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মত্স উপদেষ্টা আখতার জানিয়েছেন আগে দেশের মানুষ ইলিশ পাবে। তারপর রফতানি। শেখ হাসিনার আমলে প্রতি বছরই পুজোর সময়ে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিতেন তিনি। ফলে প্রতি বছরই পুজোর সময়ে এপার বাংলার মানুষজন পদ্মার ইলিশের স্বাদ পেতেন। এনিয়ে প্রতি বছরই হইচই হতো এপার বাংলায়।
গত ৫ অগাস্ট ইস্তফা দিয়ে ভারতে চলে এসেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তার ছেলের দাবি, হাসিনা ইস্তফা দেননি। ওই ঘটনার পর থেকে তোলপাড় বাংলাদেশ। তার পরেই বাংলাদেশের রফতানিকারকরা জানিয়ে দেন যে এবার পুজোয় ইলিশ পাওয়ার আশা কম। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
রবিবার তাঁর মন্ত্রকে বসে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছিলেন মত্স উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ওই সময়ে ফরিদাকে পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রফতানির কথা জিজ্ঞাসা করেন এক সাংবাদিক। ওই প্রশ্ন শুনে খানিকটা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে অত প্রেম কিসের? দেশবাসী ইলিশ পাবে না আর ইলিশ বিদেশ রফতানি হবে! এটা হতে পারে না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। পরে রফতানি করা হবে। দেশের মানুষ কম দামে যাতে ইলিশ মাছ পায় তার ব্যবস্থা আগে করা হবে।