শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমী ও মহানবমী পুজো আজ। দিনের শুরুতেই কুমারী পুজো, যেখানে দেবীকে কুমারী রূপে পুজো করা হয়। মনে করা হয়, তিনি শিবপত্নী। এই রীতির মাধ্যমে দেবীর আশীর্বাদ ভক্তদের ওপর বেশি করে বর্ষিত হয়। পুজোর ৫ দিনের মধ্যে এই দিনটিকেই সব থেকে পবিত্র বলে ধরা হয়। সেই কারণে প্রায় প্রত্যেকেই মন্দিরে গিয়ে ভক্তবৃন্দ পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন। আজ সমস্ত দিন পুজোর মধ্য দিয়ে যায়। উলেখ্য, কুমারী পুজো সব মন্দিরে হয় না। এ পুজো শুধুমাত্র রামকৃষ্ণ মিশন অনুসারী ভক্তরা কিছু কিছু মন্দিরে করে থাকেন।
আজ মহাষ্টমী পুজোর পর মহানবমী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। নবমীর সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপুজো। মহিষাসুর নিধনের সময় দেবী দুর্গা প্রচন্ড ক্রোধে কৃষ্ণবর্ণ রূপ ধারণ করেছিলেন। তাই পুজোর এই আচারের সময় দেবীকে চামুন্ডা রূপে পুজো করা হয়, অর্থাৎ যিনি চন্ড ও মুণ্ডের বিনাশিনী। পুজোর এই মুহূর্তটি আরও একটি কারণে স্মরণীয়। দেবী দুর্গার আশীর্বাদ নিয়ে অযোধ্যার রাজা দশরথের পুত্র শ্রীরাম চন্দ্র এই মুহূর্তেই লঙ্কার রাজা রাক্ষস রাবণকে বধ করেছিলেন। প্রত্যেক মন্দিরে উলুর ধ্বনি, শঙ্খ ধ্বনি, ঢাকের তালে তালে আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপুজো। কোথায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। মন্দিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীরা তৎপর রয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেছেন। আগামীকাল শনিবার দশমী পুজো শেষে প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় শ্রী শ্রী দুর্গা পুজো।