পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এখনও ১০ মাস বাকি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এর মধ্যেই অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে দিল। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস।
রবিবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সেই দলের অধিনায়ক করা হয়েছে লিটনকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কার্যনির্বাহী নাজমুল আবেদিন বলেন, “আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলের অধিনায়ক লিটন। ও অভিজ্ঞ। আমরা সেটা কাজে লাগাতে চাই। এই মুহূর্তে দলে খুব বেশি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নেই। লিটনের রান না পাওয়া নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু আমাদের মনে হয় লিটনের দক্ষতা আছে। ও রানে ফিরলে দলের সম্পদ হয়ে উঠবে।”
নাজমুল হোসেন শান্ত এত দিন দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি আর নেতৃত্ব দেবেন না বলে জানিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে দলকে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন। তাঁকেই এ বার টি-টোয়েন্টিতে পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হল।
মেহেদি হাসানকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে। নাজমুল বলেন, “টি-টোয়েন্টিতে মেহেদিকে দলে নিতেই হবে। ও খুব কৌশলী, সেই কারণেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এই দায়িত্ব শুধু আগামী দু’টি সিরিজ়ের জন্য। আমরা আগামী দিনের অধিনায়ক তৈরি করতে চাই।”
শুধু টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নয়, আগামী দিনে টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটের জন্যেও অধিনায়ক ঘোষণা করবে বাংলাদেশ। নাজমুল বলেন, “খুব শীঘ্রই আমরা টেস্ট এবং এক দিনের দলের অধিনায়ক ঘোষণা করব। শূন্য স্থান পূরণ করা জরুরি। আড়াই মাসের মধ্যে টেস্টের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। তার এক সপ্তাহ আগে অধিনায়ক ঘোষণা করা হবে।”
বাংলাদেশের হয়ে শেষ ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে অর্ধশতরান করেন লিটন। ব্যাটে রান না থাকা একজনকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে। প্রধান নির্বাচক গাজি আশরাফ হোসেন বলেন, “বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ আছে। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং ভারতের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় আছে। অনেক সময়ে নানা ধরনের পরীক্ষা করা। বিশ্বকাপে নামার আগে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে নামতে চাই। সেখানে লিটনের বড় ভূমিকা থাকবে।”
মনে করা হচ্ছে লিটন তিন নম্বরে ব্যাট করবেন। আশরাফ বলেন, “আমার মনে হয় ও তিন নম্বরে ব্যাট করবে। এই জায়গায় যে ব্যাট করে তার উপর অনেক বড় দায়িত্ব থাকে। দল লিটনকে সেই ভাবে তৈরি করবে। সেই সঙ্গে নেতৃত্বের দায়িত্বও আছে। লিটনকে সেরাটা দিতে হবে। বিপক্ষ ওর জন্য পরিকল্পনা করছে। নতুন কোচ নিশ্চয়ই সেই দিকে নজর দেবে। যদিও শেষ পর্যন্ত মাঠে নেমে ক্রিকেটারকেই খেলতে হয়।”
বাংলাদেশ দল: লিটন দাস (অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তোহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, মেহেদি হাসান (সহ-অধিনায়ক), তানবির ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মেহমুদ, তানজিম হাসান শাকিব, নাহিদ রানা এবং শরিফুল ইসলাম।