পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের বাংলাকে নিশানা করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। হিমাচলের এক জনসভা থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। তাঁর খোঁচা, “বাংলা জ্বলছে। দুর্নীতি, হিংসা ওখানকার নিউ নর্মাল।” রাজ্যের পুরনো গৌরব গাঁথা-নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন বিজেপি (BJP) নেতা। পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
রাজ্য়ে পঞ্চায়েত ভোটের আবহ। মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই জেলায়-জেলায় অশান্তি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজনের প্রাণ গিয়েছে। চলছে গুলি-বোমাও। এর মধ্যেই রাজ্য়ের অশান্তি নিয়ে সরব হলেন অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর কথায়, “মমতা দিদির বাংলা জ্বলছে। সঙ্গে জ্বলছে বাংলার অস্মিতা, বাংলার নাম, বাংলার মান, বাংলার ঐতিহ্য। আর বাংলাকে জ্বালানোর এই কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের কর্মী।”
বাংলার প্রাচীন গৌরবের প্রসঙ্গ টেনে আনেন অনুরাগ। সেই প্রসঙ্গ তুলেই বলেন, “একসময় বাংলার নাম ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দের জন্য। এখন বাংলার বদনাম হচ্ছে। হিংসা, দুর্নীতি, তোষন এখন বাংলার নিউ নর্মাল। রাজ্য়ের যেদিকেই তাকান, এখন শুধু হিংসা, দুর্নীতিই দেখতে পাবেন।” তাঁর আরও সংযোজন, ওখানে পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফের জেলায় জেলায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, জে পি নাড্ডা অন্য রাজ্যে গেলে তাঁকে সাদরে আপ্যায়ন করা হয়। আর বাংলায় তাঁকেও হিংসার স্বীকার হতে হয়।
কাটমানি, টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েও সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলের সঙ্গে লালুপ্রসাদ যাদবের জমানার তুলনা টানেন তিনি। বলেন, “লালুপ্রসাদ যাদবের জমানায় জমির বদলে চাকরি হত। আর মমতা দিদির আমলে টাকার বিনিময়ে চাকরি হচ্ছে। সাফাই কর্মীর চাকরির জন্য ৪ লাখ, ক্লার্কের চাকরির জন্য় ৫ লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে ওই রাজ্যে।” পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “যে বলে, গোলি মারো, তাঁর থেকে আর কী আশা করা যায়!”