‘স্বাভাবিক জনজীবন যেন ব্য়াহত না হয়’। বিজেপির ডাকা বনধের বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। জনস্বার্থ মামলা দায়ে করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আগামীকাল, বুধবার মামলা শুনানি।
ঘটনাটি ঠিক কী? আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার নবান্ন অভিযান। দিনভর দফায় দফায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ পুলিসের। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সাঁতরাগাছি, বড়বাজার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ‘ছাত্রসমাজ থেকে বলেছিল, বাধা দিলে প্রতিরোধ হবে। কিন্তু আমরা সংযত থাকব। তাঁরা সেকাজটা করেছেন। পুলিসের উসকানি ছিল, তারা প্রচুর মানুষকে মারধর করেছেন’।
নবান্ন অভিযানে পুলিসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। কবে? আগামীকাল, বুধবার। সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ছাত্রদের নবান্ন অভিযানে যে বর্ররোচিত আক্রমণ হয়েছে, সেই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে এবং আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে সমস্ত মানুষ পথে নামুন। আগামীকাল ছাত্রের উপরে এই বর্রবোচিত আক্রমণের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বনধ সফল করুন’।
এদিকে বিরোধীদের বনধে বিরোধিতা করেছে সরকার। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, এই বনধটা কেন? সমস্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বুঝি! পুজোর আগে অনেক বাণিজ্যিক লেনদেন হয়। যার জন্য এই রাজ্য অর্থনীতি সব রাজ্যের থেকে চাঙ্গা। সেটা বন্ধ করে দিতে হবে! অর্থনীতিতেও এইভাবে বাধা ফেলে, একটা কিছু করতে হবে আন্দোলনের নামে। তাই আগামীকাল বনধের ডাক’। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় বনধের রাজনীতি চলে না, যবে থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসকের মুখ্য় ভূমিকায় আছেন, বনধ রাজনীতি বন্ধ হয়ে গিয়েছেন। বনধটা আবার চালাতে হবে, এটা বুঝি ভেবেছেন তাঁরা। বনধ প্ররোচনামূলক, অভিসন্ধি রয়েছে এর পিছনে। বাংলার মানুষ এই বনধকে সফল হতে দেবেন না’। এবার মামলা গড়াল হাইকোর্টে।