জোশীমঠ বিপর্যয়ের মাঝে নতুন করে ফাটল দেখা দিল বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কে। এক থেকে দুই মিটার চওড়া ফাটল দেখা গিয়েছে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের একাধিক অংশে। বদ্রীনাথে তীর্থযাত্রার অন্যতম প্রধান রাস্তা এই জাতীয় সড়ক।
প্রশাসনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, বদ্রীনাথের পথে এই ফাটল নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বেগের কারণ নেই। আগামী মে মাসে বদ্রীনাথ যাত্রা শুরু হওয়ার আগেই ফাটল মেরামত করে দেওয়া হবে।
বদ্রীনাথ, হেমকুণ্ড যাত্রার ‘গেটওয়ে’ বলা হয় জোশীমঠকে। গাড়োয়াল হিমালয়ের বুকে সেই শহরেই বিপন্ন হয়ে উঠেছে সাধারণ জীবনযাত্রা। জোশীমঠে মোট ৮৬৩টি বাড়িতে ইতিমধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। কোনও কোনও বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে বাসিন্দাদের চোখের সামনে। শুধু বাড়ি নয়, জোশীমঠের রাস্তাতেও ক্রমশ চওড়া হয়েছে ফাটল। বহু মানুষকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেছে সরকার।
জোশীমঠে ভূমি অবনমন নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে নিকটবর্তী অন্যান্য এলাকাতেও। বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, অদূর ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে বসে যাবে জোশীমঠ শহর। এই ভূমি অবনমন রোখা সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বদ্রীনাথের রাস্তায় ফাটল প্রসঙ্গে চামোলির জেলাশাসক শনিবার বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কে যে ছোট কিছু ফাটল দেখা দিয়েছে, তা ভারী মালপত্র বহনের কারণে। তা নিয়ে বিশেষ উদ্বেগের কারণ নেই।’’
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অলকানন্দা নদীর উপর বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের জায়গায় জায়গায় চওড়া ফাটল দেখা যাচ্ছে। অবিলম্বে তা মেরামতের জন্য সরকারের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। জোশীমঠের মতো বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কও ভূমি অবনমনের কবলে পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে প্রশাসন। চারধাম যাত্রার আগে ফাটল বুজিয়ে রাস্তা মেরামত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা।