মহিলাদের বিশ্বকাপ মিটতেই সুর চড়াল ভারতীয় বোর্ড, এশিয়া কাপ ট্রফি হস্তান্তর নিয়ে নকভিকে সময় বেঁধে দিলেন শইকীয়া

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথম বার মহিলাদের বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। রবিবার হরমনপ্রীত কৌরদের ফাইনালের পর আবার এশিয়া কাপের প্রসঙ্গ তুললেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব দেবজিৎ শইকীয়া। এশিয়া কাপের ট্রফি দেশে আনতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নকভির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে পদক্ষেপ করার কথাও জানিয়ে দিলেন শইকীয়া।

সূর্যকুমার যাদবেরা গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। কিন্তু এখনও হাতে ট্রফি পাননি। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তার হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকার করেন সূর্যেরা। নকভি মঞ্চে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ট্রফি নিয়ে চলে যান। রেখে দিয়েছেন নিজের কাছেই। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান তার পর থেকে ট্রফি হস্তান্তর নিয়ে একের পর এক শর্ত চাপিয়ে চলেছেন। তাঁর এই আচরণে ক্ষুব্ধ বিসিসিআই।

বিশ্বকাপ ফাইনালের পর সুর চড়িয়ে শইকীয়া বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ জেতার পর আমাদের মহিলাদের দল সঙ্গে সঙ্গে ট্রফি পেয়ে গেল। আমাদের পুরুষদের দলও দুবাইয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ট্রফি বিসিসিআইয়ের দফতরে এসে পৌঁছোয়নি। ১০ দিন আগেও আমরা ট্রফি হস্তান্তরের অনুরোধ করে এসিসি চেয়ারপার্সনকে চিঠি দিয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব ট্রফি পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত ট্রফি আসেনি।’’ ক্ষুব্ধ শইকীয়া জানিয়েছেন, প্রয়োজনে পাক ক্রিকেট কর্তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। বিসিসিআই সচিব বলেছেন, ‘‘৩ নভেম্বরের মধ্যে আমরা ট্রফি না পেলে অন্য কিছু ভাবতে হবে। দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বৈঠক রয়েছে। আমরা সেই বৈঠকে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার কাছে অভিযোগ জানাব। আমি নিশ্চিত আইসিসি ন্যায় বিচার করবে এবং যত দ্রুত সম্ভব ট্রফিটি আমাদের পাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।’’

নকভি এসিসি এবং পিসিবির শীর্ষকর্তা। এ ছাড়া তিনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রীও। বিসিসিআইয়ে চিঠি পাওয়ার পর নকভি বলেছিলেন, ৩ নভেম্বর দুবাইয়ে একটি অনুষ্ঠান করে ভারতকে ট্রফি হস্তান্তর করতে চান। সঙ্গে জুড়ে দেন একটি শর্তও। তা হল, এশিয়া কাপজয়ী ভারতীয় দলের কোনও ক্রিকেটারকে ট্রফি নিতে দুবাই যেতে হবে। কিন্তু সূর্যেরা পাক কর্তার হাত থেকে ট্রফি না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.