জো বাইডেনের দেশে বিশ্বকাপের বোধন হয়ে গেল রবিবার। বিশ্বকাপের প্রথম ম্য়াচে মুখোমুখি হয়েছিল অন্য়তম আয়োজক দেশ ইউএসএ ও কানাডা। ১৪ বল হাতে রেখে সাত উইকেটে দুরন্ত জয় পেয়েছে আমেরিকা। তবে আগামী রবিবারের দিকেই সকলের চোখ। কারণ বিশ্বকাপে ফের ‘মাদার অফ অল ব্য়াটল’। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan)। রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma) বিরুদ্ধে খেলবেন বাবর আজমরা (Babar Azam)। তবে মাঠে নামার আগেই তো বাবরের দেশে কেঁপে গিয়েছে। পিসিবি-র পডকাস্টে সাফ বললেন যে, এই ম্য়াচে কী ভয়ংকর চাপ থাকে তাঁদের!
বাবর বলেন, ‘দেখুন আমরা জানি আর পাঁচটা ম্য়াচের চেয়ে, অনেক বেশি আলোচনা হয় ভারত-পাকিস্তান ম্য়াচ নিয়ে। এই ম্য়াচের মেজাজই আলাদা। শুধু দুই দেশের ক্রিকেটাররাই নয়, ফ্য়ানদের মধ্য়েও অন্য়রকম রোমাঞ্চ থাকে। বিশ্বের যে প্রান্তেই যান না কেন, সবাই ভারত-পাক ম্য়াচ নিয়ে কথা বলে, সে যতই তাঁর দেশের সমর্থক হন না কেন! এই ম্য়াচের জন্য় ভারত-পাকিস্তান ফ্য়ানরা মুখিয়ে থাকেন। আর অবশ্যই এই ম্যাচের প্রত্যাশা এবং উত্তেজনা থেকে নার্ভাসনেস কাজ করে। সবটাই নির্ভর করে যে, আপনি কীভাবে ম্য়াচ পরিচালনা করছেন। বেসিকসে ফোকাস করলেই একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে কাজটি সহজ হবে। এই ম্য়াচে প্রচুর চাপ থাকে। মাথা ঠান্ডা রাখতে হয়। নিজের কঠোর পরিশ্রম ও স্কিলসেটের উপর ভরসা রাখলে বিষয়টি সহজ হয়।’ ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের আক্ষেপ এখনও বাবরের বুকে। তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে আমরা ভারতের বিরুদ্ধে জিততে পারতাম। তবে ওরা আমাদের থেকে ম্য়াচটা নিয়ে গিয়েছিল। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে হেরে সবচেয়ে দুঃখ পেয়েছিলাম। কারণ আমরা ভারতের বিরুদ্ধে ভালো খেলেছিলাম। লোকে প্রশংসা করেছিল আমাদের পারফরম্যান্সের। আমরা যেভাবে পাল্টা লড়াই করেছিলাম।’
৩৪ হাজার দর্শক আসন বিশিষ্ট স্টেডিয়ামকেই বেছে নেওয়া হয়েছে ভারত-পাক ম্য়াচের রণাঙ্গন হিসেবে। আমেরিকার অন্য় কোনও শহরে কেন হচ্ছে না হেভিওয়েট মহারণ? কেনই বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোন ভেন্য়ুকে বেছে নেওয়া হয়নি। তার কারণ অত্য়ন্ত স্পষ্ট। ৭ লক্ষ ১১ হাজার ভারতীয়র পাশাপাশি ১ লক্ষ পাকিস্তানির বাস এই নিউ ইয়র্ক শহরেই। বোঝাই যাচ্ছে ওয়াঘারের দুই পারের দুই দেশের এত মানুষ আর কোথাও নেই। ফলে ‘দ্য় বিগ অ্য়াপল (নিউ ইয়র্কের আরেক নাম)’২০২৩ সালে ভারত-পাক তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। দু’বার এশিয়া কাপে। প্রথম ম্য়াচ বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্য়াচ ভারত জিতে যায়। এরপর বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল আহমেদাবাদে। সেবারও শেষ হাসি হাসেন রোহিত শর্মারাই।