ফের শহরে বেপরোয়া বিলাসবহুল গাড়ি। ভ্যানচালককে ধাক্কা অডি গাড়ির। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে। অডি গাড়ির চালককে আটক করেছে জোড়াসাঁকো থানার পুলিস। গাড়ির চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে জোড়াসাঁকো থানার পুলিস। আটক গাড়িচালক পার্ক স্ট্রিটের বাসিন্দা বলে পুলিস সূত্রে খবর। বিলাসবহুল অডি গাড়ির চালক মত্ত অবস্থায় স্টিয়ারিংয়ে ছিলেন কিনা উঠছে প্রশ্ন।
এলাকাবাসীর দাবি, চালক মদ্যপ অবস্থাতেই ছিলেন। গাড়ির গতিবেগ এতটাই বেশি ছিল যে, ধাক্কার অভিঘাতে গাড়ির সামনের টায়ার ফেটে গিয়েছে। ফেটে গিয়েছে সামনের হেডলাইট ও বাম্পারের কিছু অংশও। গাড়িতে মদের বোতলও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। মহম্মদ আলি পার্ক পেরিয়ে মহাত্মা গান্ধী রোডের সংযোগস্থলে প্রথমে একটি হলুদ ট্যাক্সিকে ধাক্কা মারে অডি গাড়ির চালক। তারপরই মহম্মদ আলি পার্ক ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সংযোগস্থলে ধাক্কা মারেন এক ভ্যানচালককে। ধাক্কায় ভ্যানচালক ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। ধাক্কা মারার পর গাড়ির মাথায় চড়ে বসেন চালক!
প্রসঙ্গত, এর আগে গত নভেম্বরে রেড রোডে বেপরোয়া বিলাসবহুল গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ হারান এক কলেজ পড়ুয়া। আহত হন আরও ২ জন। মৃত কলেজ পড়ুয়া ফাইজান হরিমোহন ঘোষ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল ফাইজান। মেটিবুরুজের ফতেপুর ভিলেজ রোডের বাসিন্দা ফাইজান আনসারি, রিজওয়ান ও আহতাব নামে ৩ যুবক সেদিন রবিবার সকালে একটি স্কুটি চড়ে ময়দানে আসছিল। রবিবার হওয়ায় তারা ক্রিকেট খেলার সরঞ্জাম নিয়ে ময়দান যাচ্ছিল। খিদিরপুর পার করে তারা যখন রেড রোড হয়ে ময়দানের দিকে যাচ্ছিল, সেইসময় ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেটের সামনে একটি চারচাকার বিলাসবহুল গাড়ি তদের স্কুটিতে ধাক্কা দেয়।
প্রবল ধাক্কায় তিনজনই রাস্তায় পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ফাইজানের। এর আগে ২০১৬ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসের মহড়া চলছিল রেড রোডে। তার মধ্যেই নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ঢুকে পড়ে তৃণমূল নেতা মহম্মদ সোহরাবের ছেলে আম্বিয়া সোহরাবের গাড়ি। বিলাসবহুল গাড়ির বেপরোয়া সেই গতি পিষে দেয় বায়ুসেনা কর্মী অভিমন্যু গৌড়কে। তারপরও প্রায় একই ধরনের ঘটনা ঘটে ফোর্ট উইলিয়ামের দক্ষিণ গেটের সামনে।