নিজস্ব ছন্দেই ছুটছিল রাজধানী এক্সপ্রেস। অন্ধকারের বুক চিরে রেললাইনের উপর ছুটছিল যন্ত্রদানব। মঙ্গলবার ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত তিনটে। হঠাৎ করেই চালকের কাছে খবর আসে রেললাইনে একটি কুমির পড়ে রয়েছে। রেলের টহলদারি কর্মীর বিষয়টি দেখতে পান। এরপরই রাজধানীর মতো প্রিমিয়াম ট্রেনকে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গুজরাতের কাজরন স্টেশনের কাছে এরপর দাঁড় করানো হয় ভাদোদরা-মুম্বই রাজধানী এক্সপ্রেসকে। অন্তত ২০ মিনিট দাঁড়িয়েছিল রাজধানী। রাজধানীর পেছনে থাকা একাধিক ট্রেনও দাঁড়িয়ে যায়।
এরপরই রেলের তরফে পশুপ্রেমী সংস্থাকে খবর দেওয়া হয়। তাদের নিয়ে রেললাইনে পৌঁছন রেলদফতরের টিম। এরপর কুমিরটিকে উদ্ধার করা হয়। একেবারে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল কুমিরটি। তবে এভাবে ট্রেন থামিয়ে কুমির বাঁচানোর জন্য যে উদ্যোগ রেল কর্তৃপক্ষ নিয়েছে তার প্রশংসা করেছেন অনেকেই। তবে গত কয়েকদিনে গুজরাতের বিভিন্ন এলাকায় এই ধরনের কুমির উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কিন্তু কেন এভাবে পড়েছিল কুমিরটি। পশুপ্রেমী সংস্থার কর্ণধার নেহা পটেল বলেন, সম্ভবত কোনও কিছুর সঙ্গে কুমিরটির ধাক্কা লেগেছিল। ব্যাপক রক্তক্ষরণও হয়েছিল। মাথা, পিঠ ও লেজের দিকে আঘাত লেগেছিল। তবে রেললাইন থেকে কুমিরটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কুমিরটিকে শেষপর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। বনদফতরের ধারনা অতিবৃষ্টির জেরে সম্ভবত কুমিরটি রেললাইনে উঠে এসেছিল।